কেষ্টপুরে মা–মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করল বাগুইআটি থানার পুলিশ। তারপর তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার হওয়া পাঁচজন ব্যক্তি বিধাননগর পুরসভায় মিউটেশন, লাইসেন্স, বিল্ডিং প্ল্যান পাস–সহ বিভিন্ন কাজে এজেন্ট হিসেব🌊ে কাজ করত। কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কাননের আবাসনে এই জোড়া মৃতদেহ মেলায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছিল। জোড়া মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। তবে মা গোপা রায় এবং মেয়ে সুদেষ্ণা রায়ের সুইসাইড নোট পুলিশ পেয়ে যাওয়ায় এই জোড়া মৃত্যু রহস্যের পর্দাফাঁস হয়ে যায়।
এদিকে এই জোড়া মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বিধাননগর পুরসভার তিনকর্মী–সহ পাঁচজনকে প্রথমে ‘আটক’ করে। তারপর নানা কথা জিজ্ঞাসাবাদ করতেই অসংলগ্ন তথ্য দিতে শুরু করে তারা। তখন আবার ওই ফ্ল্যাটে যায় পুলিশ। আর সেখানে চিরুণি তল্লাশি শুরু করে। তখন ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট পায়। সেখানে এই পাঁচজনের নাম লেখা ছিল। মৃত গোপা রায় (৪৬) ও মেয়ে সুদেষ্ণা রায় (২৩) যে ফ্ল্যাটে থাকতেন সেটি দু’বছর আগে ভাড়া নিয়েছিলেন গোপাদেবীর ভাই গৌতম দে। প্রায় ১৪ বছর গোপাদেবী মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের এখানেই থাক🌳তেন। কারণ 💎স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের মামলা চলছিল।
অন্যদিকে রবিবার গৌতমবাবু তারাপীঠ গিয়েছিলেন। স🐼েখান থে𒐪কে বারবার দিদি গোপাকে ফোন করছিলেন বিশেষ প্রয়োজনে। কিন্তু কিছুতেই ফোনে পাচ্ছিলেন না। তখন সন্দেহ হওয়ায় উদ্বেগের সঙ্গে দ্রুত কেষ্টপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। আর সকাল হতেই গৌতমবাবু নিরাপত্তারক্ষীকে ফোন করেন। তাঁর নির্দেশ পেয়ে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে দেখেন পড়ে রয়েছে দু’জনের মৃতদেহ। তখনই খবর দেওয়া হয় বাগুইআটি থানায়। ততক্ষণে চলে আসেন গৌতমবাব🔴ুও।পুলিশ এসে মা ও মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন💛।