পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে ꦦরাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপর গতকাল শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর্ব। তখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। যা অবশ্যই লাইসেন্সপ্রাপ্ত। তার মধ্যে ভাঙড়, ক্যান𓆉িং, চোপড়া এবং বেশ কয়েকটি জেলা থেকে মৃত্যুর খবর এসেছে। যদিও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে উল্লেখ নেই। পুলিশের পক্ষ থেকে দেওয়া রিপোর্টে কোনও মৃত্যুর ঘটনারই উল্লেখই নেই বলেই কমিশন সূত্রে খবর।
এদিকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বাংলার নানা প্রান্ত থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়ার সংখ্যা ৪ হাজার ৭৮৭। এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। আবার এখনও পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে যে রিপোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে সেখানে নির্বাচনকে ঘিরে কোনও মৃত্যুর ঘটনার উল্লেখ নেই! কিন্তু আহতের সংখ্যা ৯০ জন সেটার উল্লেখ আছে। এমনকী এই রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ৩০টি অশান্তির ঘটনা 🤪ঘটেছে ব🍃াংলায়। ৩০টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫৬টি বোমা উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে গ্রামবাংলায়।
অন্যদিকে রাজ্যের সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ভাঙড়–চোপড়া মিলিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। তার মধ্যে এসেছে নবগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ। আর বীরভূমে দু’জন তৃণমূ🦩ল কংগ্রেস কর্মীকে বোমা মারা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অথচ পুলিশ যে রিপোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে পাঠিয়েছে সেখানে এই নির্বাচন কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর খবর নেই। কমিশনের একটি সূꩲত্র জানাচ্ছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? জামিন অযোগ্য ধারায় ১৮০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে এই রিপোর্ট উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। তবে গোটা রাজ্যে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যদিও হাতে আর দু’দিন সময় আছে। তার মধ্যে কেন༒্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে কমিশনকে। গতকাল রাতেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছিলেন, আদালত যা নির্দেশ দিয়েছে তা পালন করা হবে। এখন দেখার কেন্দ্রীয় বাহিনী ইস্যুতে কমিশন সুপ্রিম কোর্টে যায় নাকি বাহিনীর আবেদন করেন।