রাজ্যে পঞ🦋্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমার সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন এখনও শেষ হয়নি। অর্থাৎ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জুন। সেক্ষেত্রে হাতে আছে এখনও একদিন। বিরোধীদের অভিযোগ, মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য শাসকদল চাপ দিচ্ছে। তাই বিরোধী দলের প্রার্থী🀅রা এবং নির্দল প্রার্থীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন একটি বিষয় সংযোজন করলেন রাজনীতিতে। সেটা হল–‘নির্বাচনী ভ্রমণ’।
বিষয়টি ঠিক কেমন হচ্ছে? শাসকদল যাতে চাপ দিয়ে, ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করাতে না পারে তাই বিরোধী–নির্দল প্রার্থীরা বেড়াতে চলে গেলেন। অন্য জায়গায় থাকলে চাপ আসার বিষয় নেই। ফলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হবে না। বরং মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন পেরিয়ে গেলে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরবে। ঠিক এই কারণেই ‘নির্বাচনী ভ্রমণ’–এর ছক কষা হয়েছে। তাতে এই বিরোধী প্রার্থীরা এখন কেউ দিঘা, পুরী কিংবা তারাপীঠে গ𒁏িয়ে প্রকৃতির কোলে নিজেদ🌌ের ভাসিয়ে দিয়েছেন। যাতে দু’দিকই বজায় থাকে।
এই নতুন আঙ্গিক—নির্বাচনী ভ্রমণে গিয়েছেন তারকেশ্বর ব্লকের বিরোধী এবং দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়া প্রার্থীরা। তাঁরা মনে করেন, এলাকায় থাকলে মনোনয়ন প্রত্যাহা🌳রের জন্য চাপ আসতে পারে। এমনকী হামলা হতে পারে। তাই আগাম সতর্কতা নিতেই এমন পদক্ষেপ। তবে পুরোটাই আশঙ্কার উপর নির্ভর করে করা হয়েছে। আগামী ২০ তারিখ মনোনয়ন প্রত্যাহার꧟ের শেষ দিন। তারপরই এ🐻লাকায় ফিরে আসবেন এসব বিরোধী প্রার্থীরা। তাঁরা নিজেরাই এই ভ্রমণের নাম দিয়েছেন ‘নির্বাচনী ভ্রমণ’।
আর কী জানা যাচ্ছে? তারকেশ্বর ব্লকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৬২৩ জন। তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী প্রার্থীদের নিয়ে চিন্তিত নয়। শাসক দলের নেতারা চিন্তিত নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে। তাঁরা টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসাবে ভোট কাটতে দাঁড়িয়ে পড়েছেন। এটাই এখন কাঁটা হিসাবে বিঁধছে। ইতিমধ্যেই দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা–অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দল হয়ে যাঁরা দাঁড়িয়েছেন তাঁদের জন্য সারাজীবন তৃণমূল কংগ্রেসের দরজা বন্ধ। এই ব্লকের সন্তোষপুর পঞ্চায়েতে ৪টি, নাইটা পঞ্চায়েতে ১৫টি, তালপুর ও আস্থারা–দত্তপুরে ৩টি এবং বালিগড়ি–২ পঞ্চায়েতে দু’জন তৃণমূল কর্🐎মী নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের আশঙ্কা, মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য চাপ আসবে। সিপিএমের অভিযোগ, তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে এক নির্দল প্রার্থী নামপ্রকাশ করতে না চেয়ে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দিঘার সমুদ্রসৈকতে চলে এসেছি। এতে কোনও চাপ নেই। আমার পরিচিত অনেক প্রার্থীই এখন চাপের মুখে না পড়তে তারাপীঠ ও পুরী চলে গিয়েছেন। সঠিক সময়ে ফিরে আসব।’