বিধাসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেও মহারাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন দফতরের তরফে একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিপাকে পড়েছে মহারাষ্ট্র ওসরকার। এই ঘটনায় মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এবার রাজ্য সরকারের কাছে এ নিয়ে ব্যাখ্যা চাইল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরেও কেন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল? তা জানাতে বলা হয়েছে মহারাষ্ট্র সরকারকে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
আরও পড়ুন: ඣলোকসভার নিরিখে মহারাষ্ট্রে বিভানসভায় এগিয়ে কে? একনজরে চমকপ্রদ পরিসংখ্যান
♒ মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে ৩ টে নাগাদ নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে। তবে দেখা যায়, নির্বাচন ঘোষণার পরেও রাজ্য সরকার ১১১টিরও বেশি সরকারি রেজোলিউশন জারি করে। পরে বুধবার আরও কয়েক ডজন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বুধবার রাজ্যের পর্যটন দফতর বিভিন্ন কাজের জন্য ৮টি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তারপরেই বিরোধীরা মহারাষ্ট্র সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে সরব হন। তাদের বক্তব্য, নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পরে সরকার এভাবে জনকল্যাণমুখী কাজের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে না। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে বিরোধীরা অভিযোগ জানান। পরে কমিশনের অফিস একটি ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছে। নির্বাচন ঘোষণার পরে জারি করা জিআরগুলির বিষয়ে সমস্ত বিভাগকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এদিকে, মুখ্য সচিবের কাছে নির্বাচন কমিশন♉ ব্যাখ্যা চাইতেই জারি করা সব বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করার পাশাপাশি দরপত্র বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। যে বিভাগগুলি বিজ্ঞপ্তি এবং দরপত্র জারি করেছিল তাদের জিআরগুলি পর্যালোচনা করার এবং তারা সম্ভাব্য ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে কিনা তা মূল্যায়ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।