বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট তাদের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা হয়নি। ফলে ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় কাকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে সে বিষয়টি নিয়ে এখনই নিশ্চিত নয় বিজেপি। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে এবার ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর সেই তালিকায় নি🎶জের অনুমানে অমিত শাহ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাম নিলেন না। ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করে তিনি বলেছেন, দেশে একজন স্থিতিশীল প্রধানমন্ত্রী দরকার, বার্ষিক ভিত্তিতে নয়।
আরও পড়ুনঃ 'স্পেশাল ট্রিটমেন্ট', কেজরি মুক্তি নিয়ে অকপট শাহ, ‘এ🐓খন অন্য ইস্যুতে ফেঁসেছেন’
বৃহস্পতিবার বিহারের মধুবনীতে একটি জনসভা করেন অমিত শাহ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে আক্রমণ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যদিও ইন্ডিয়া জোট প্রধানমন্ত্রী পদের প্রার্থীর নাম এখনও ঘোষণা করেনি। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই দৌড়ে নিঃসন্দেহে এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নিয়ে আক্রমণ করতে গিয়ে অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, লালু প্রসাদ যাদব এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের নাম করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যদি ইন্ডিয়া ব্লক জয়ী হয় তাহলে আমি নিশ্চিত নয় যে তাদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী কে হবে? মমতা, লালু নাকি স্ট্যালিন।’
অন্যদিকে, পাকিস্তানের সম্পর্কে সম্প্রতি ইন্ডিয়া জোটের নেতাদের যে মন্তব্য সামনে এসেছে তা নিয়েও আক্রমণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ফারুক আব্দুল্লাহ বলছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে কথা বলবেন না। 𝔉কারণ পাকিস্তানের কাছে পরমাণু বোমা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগে অমিত শাহ বলেন, ‘রাহুল বাবা আপনি হয়তো পাকিস্তানের পরমাণবিক বোমা দেখে ভয় পাচ্ছেন।’ এ প্রসঙ্গে শাহ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ এতটাই শক্তিশালী হয়েছে যে কোনও পরমাণু বোমা দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর আমাদের এবং আমরা তা ফিরিয়ে নেব।’
অন্যদিকে বিহারের সীতামারহিতে আরও একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অমিত শাহ বলেন, অযোধ্যার পর এবার বিজেপির সরকার বিহারে বিশাল একটি মন্দির তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, বিজেপি ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে ভয় পা♏য় না। প্রধানমন্ত্রী মোদী অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করেছেন। এখন বাকি কাজ হল মা সীতার জন্মস্থানে একটি মহান স্মৃতিসৌধ তৈরি করা।