ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের বকুনি হজম করতে হল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়াকে। এর আগে ১২ মার্চের মধ্যে ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়ে যাবতীয় তথ্য প্রকাশ করার জন্য এসবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপর সেই তথ্য প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। যদিও প্রকাশ হওয়া সেই তথ্যে সন্তুষ্ট ছিল না সুপ্রিম কোর্ট। কারণ সেখানে বন্ডের ইউনিক নম্বর দেওয়া নেই। উল্লেখ্য, ইউনিক নম্বর দিয়েই বোঝা যাবে কোন সংস্থা কোন রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিয়েছে। এই আবহে আজ এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন ফের স্টেট ব্যাঙ্ককে বকুনি দিলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। এদিকে ২০১৯ সালের ১২ এপ্রিলের আগেও যেসব নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা করা হয়েছিল, তা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। (আরও পড়ুন: ইলেক্♏টোরাল বন্ডের মাধ্যমে কত টাকা নিয়েছে বাম দলগুলি? প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য)
আরও পড়ুন: ইল🎃ে💞ক্টোরাল বন্ড অনুদানের তালিকায় তৃতীয়তে নামল তৃণমূল, নয়া তালিকায় হেরফের হিসেব
আজ শুনানি চলাকালীন প্রধান বিচারপতি বলেন, 'এসবিআই-এর হাতে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত যা যা তথ্য আছে, আমরা চাই সেই সব যেন প্রকাশ করা হয়।' এসবিআই-এর জন্যে উপস্থিত হওয়া আইনজীবী হরিষ সালভে শীর্ষ আদালতে এরপর জনান, যদি ইউনিক নম্বর দিতেই হয়, তাহলে তা তারা দেবে। এরপর প্রধান বিচারপতি এসবিআই-কে একটি হলফানামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। সেই হলফনামায় এসবিআই♉-কে বলতে হবে, তাঁরা নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত কোনও তথ্য গোপন করেনি। ২১ মার্চের মধ্যে সেই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ককে।
আরও পড়ুন: CAA-তে পুরুষাঙ্গ পরীক্ষার নিদান তথ⛦াগতর, 'নগ্ন প্রতিহিংসা…', সরব তৃণমূল
এদিকে নির্বাচনী বন্ডের বিরুদ্ধে মামলাকারী আইনদীবী প্রশান্ত ভূষণ আজ বলেন, 'আমরা শুধু চেয়েছি যে স্বচ্ছতা বজায় থাকুক। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলি তাদের মুখবন্ধ খামে জানায়নি যে কোন কোম্পানি কত টাকা অনুদান দিয়েছে তাদের। আর এসবিআই এবং নির্বাচনী কমিশনের প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে অনুদানের ক্রমিক সংখ্যা🐓 মিলছে না।' এদিকে ASSOCHAM এবং CII এই মামলায় আবেদন জমার আর্জি জানিয়েছিল। তবে তালিকায় না থাকা তাদের সেই সব আর্জি শোনেনি শীর্ষ আদালত। এই আবহে কেন্দ্রের পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ফের বলেন, নির্বাচনী বন্ড আনার একমাত্র কারণ ছিল, রাজনীতি থেকে কালো টাকা দূর করা।