ইভিএম-এর সাথে ভিভিপ্যাটের ১০০ শতাংশ ভোট মিলিয়ে দেখার আর্জির জানিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট। আজ এই মামলা সংক্রান্ত কিছু কিছু বিষয়ে কমিশনের থেকে জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। এই আ🌳বহে দুপুর ২টোর সময় আদালতের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছিল কমিশনের আধিকারিকদের। জানা গিয়েছে, বিচারপতিরা নির্বাচনী আধিকারিকের থেকে টেকনিক্যাল কিছু বিষয়ে জানতে চান। সেই সব বিষয়ে জানার পর মামলার রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছে আপাতত। তবে লাইভ ল'র রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মামলায় আজ শীর্ষ আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, ‘আমরা নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা কীভাবে ইসিআই-এর মতো অন্য একটি সাংবিধানিক কর্তৃপ𝕴ক্ষের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? সন্দেহের ভিত্তিতে নির্দেশনা জারি করা যাবে না।’
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৬ এপ্রিল এই মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্ট নিজের পর্যবেক্ষণে বলেছিল, যতক্ষণ না কোনও মানুষের হস্তক্ষেপ আসে, ততক্ষণ ইভিএম-এর ফলাফল সঠিকই আসবে। পাশাপাশি ব্যালটের যুগে যে আর ফেরা যাবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে মামলাকারী অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের বক্তব্য, প্রতিটি বিধানসভায় ২০০টি ভিভিপ্যাট মেশিন থাকলেও ৫টির বেশি গণনা হয় না। তাদের দাবি ছিল, জালিয়াতির সম্ভাবনা রুখতে ভিভিপ্যাট স্লিপ সংগ্রহ করে ব্যালট বাকꦏ্সে ফেলার সুযোগ দেওয়া উচিত ভোটারদের। এদিকে ইউরোপে ব্যালটে ভোট হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরা হলে বিচারপতি দীপঙ্কক দত্ত বলেছিলেন, 'একটা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করবেন না। এমন উদাহরণও দেবেন না। ইউরোপের উদাহরণ এখানে কাজ করে না।' বেঞ্চের অপর বিচারপতি জাস্টিস সঞ্জীব খান্না বলেন, 'ভারতে ভোটারের সংখ্যা ৯৭ কোটি। ব্যালট জমানায় কী ঘটত, সেটা আমরা সবাই জানি। আপনি ভুলে যেত🙈ে পারেন, কিন্তু আমরা ভুলিনি।'
তবে সম্প্রতি কেরলের কাসারগোড়ে একটি ঘটনা ঘটে মক পোলিংয়ের সময়। এই আবহে ইভিএম নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়। ভিভিপ্যাট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। সম্প্রতি কেরলের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম মনোরমার এক রিপোর্ꦍটে দাবি করা হয়েছিল, কেরলের কাসারগোড়ে ভোটগ্রহণের মক ড্রিল হচ্ছিল বুধবার। সেখানে কংগ্রেস, বামেদের এজেন্টরা উপস্থিত ছিলেন। সেই মক ড্রিলের সময়ই নাকি দেখা যায়, ইভিএম-এ বিজেপির জন্য যত ভোট পড়েছে, তার থেকে ১টি বেশি পদ্ম চিহ্নের স্লিপ বেরিয়ে এসেছে ভিভিপ্যাট থেকে। এই রিপোর্ট প্রকাশিত হতেই সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তবে পরে জানা যায়, এই অতিরিক্ত স্লিপগুলি আদতে 'টেস্ট প্রিন্ট' ছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে নির্দেশ দেওয়া হয়, 'ভোট প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার পবিত্রতাকে বজায় রাখতে হবে।'