আজ, সোমবার বোলপুর শহরের নিচুপট্টি এলাকা কার্যত শুনশান। নীল রঙের সেই দোতলা বাড়ি আজꦫ খাঁ খাঁ করছে। অথচ কোনও নির্বাচন হলেএ এখানে তিল ধারণের জায়গা থাকত না। আর আজ দরজা জানলা বন্ধ। ডাকলেও কেউ সাড়া দেওয়ার নেই। লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার দিন যখন বোলপুরের বুথে বুথে ভোট দিতে জড়ো হচ্ছেন অগণিত ভোটাররা তখন অনুব্রত মণ্ডলের নীল রঙের বাড়ির সামনে চেয়ারে বসে কয়েকজন পুলিশকর্মী। আর সব ফাঁকা। একা হাতে একদা সব সামলেছেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই প্রথম লোকসভা নির্বাচনের মতো বড় লড়াইয়ে কেষ্টদা নেই।
এদিকে একটা সময় ছিল যখন তাঁর একক হুঙ্কারে কাঁপ🗹ত বীরভূম–বোলপুর। এখন তিনি তিহাড় জেলে বন্দি। তবে ভোট হয়ে গেলে কেষ্টকে ছেড়ে দেবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধꦰ্যায়। এই অনুব্রত মণ্ডল গোটা এলাকা হাতের তালুর মতো চিনতেন। নকুলদানা, গুড়–বাতাসা থেকে চড়াম চড়াম ঢাক—সবই তাঁর মুখ থেকে শোনা যেত। পাচনের বারি থেকে শুঁটিয়ে লাল করে দেওয়ার নিদানও শোনা যেত তাঁর মুখ থেকেই। প্রত্যেক নির্বাচনের আগে ‘খেলা’ দেখিয়ে দিতেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তাঁকে উনিশের লোকসভা নির্বাচনে এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই বাড়িতেই নজরবন্দি করে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। তারপরও কেষ্ট খেলা দেখিয়ে দিয়েছিল। কেষ্টর সেই গমগমে বাড়িতে আজ যেন শ্মশানের নীরবতা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার বিজেপি কর্মীরা, সন্দেশখালি༒ নিয়ে সরব অমিত মালব্য
অন্যদিকে বোলপুরে অনুব্রতর বাড়ি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় ফাঁকা, শুনশান। ভোটের উত্তাপ এখানে দেখা যায়নি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘সংসারে অভিভাবক না থাকলে যেমন শূন্যতা হয়, তেমনই কেষ্টদার অভাববোধ করছি।’ গর♈ু পাচার কাণ্ডের অভিযোগে তাঁকে এই বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তখনও উপচে পড়েছিল ভিড়। একবছর পরেও সেই নিচুপট্টির বাড়ি খাঁ খাঁ করছে। ভোটের দিন শিবের মাথায় জল ঢেলে এই বাড়ি থেকে বেরতেন অনুব্রত মণ্ডল। সঙ্গীদের নিয়ে ভোট দিতেন কালিকাপুর ভাগবত প্রাথমিক স্কুলের বুথে। তার পর নেতাজি রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে পৌঁছে যেতেন। সারাদিনের জন্য সেটাই অনুব্রত মণ্ডলের কন্ট্রোল রুম হতো। মাঝে একটু মধ্যাহ্নভোজ।