💮 শুভেন্দু অধিকারী ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দেবের বিরুদ্ধে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ﷽গরু পাচারের টাকা ঢুকেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। পাল্টা দেবও এক্স হ্যান্ডেলেই কড়া জবাব দিয়েছেন। তাতে রাজ্য–রাজনীতি সরগরম। কিন্তু ৬৫ বছর আগের পরিকল্পনা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। জল যন্ত্রণা থেকে ঘাটালবাসী মুক্তি পায়নি। কারণ ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’ এখনও হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার না করার জেরে বাধ্য হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তা করবে বলে ঘোষণা করেছে। আর তাই এবার ফের প্রার্থী হয়েছেন দেব। কিন্তু ঘাটালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের প্রচারে ব্রাত্যই রইল মাস্টার প্ল্যান। দেবকে নিয়েও কোনও কথা বলেননি।
গতকাল বুধবার ঘাটাল লোকসভার অন্তর্গত ডেবরা হরিমতি হাইস্ক♓ুল ময়দানে অম♑িত শাহ সভা করেন। নানা কথা এদিন বললেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কোনও কথা বলেননি শাহ। এমনকী আগের সাংসদ দেবকে নিয়েও কোনও কথা বলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। উলটে বলেন, ‘বিজেপি ঘাটালে বহু কাজ করেছে। বারাণসী রাঁচি কলকাতা ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে চালু হবে। ৪১০ কোটি টাকায় রানিগঞ্জ বাইপাস নির্মান হচ্ছে। রানিগঞ্জ থেকে ডালখোলা অংশের উদ্বোধন হয়েছে। রামনগরে মীরগোড়া নদীর পুল নির্মাণ হয়েছে। কলাইকুণ্ডা ও ঝাড়গ্রামের মধ্যে ৪৩টি ছোট ব্রিজ তৈরির কাজ বিজেপি করেছে।’
আরও পড়ুন: অফিসটাইম♔ে পাতালপথে আবার বিভ্রাট, ধীর গতিতে চলছিল মেট্রো, নাকালꦕ যাত্রীরা
কিন্তু প্রত্যেক বর্ষায় ঘাটালবাসীকে জল যন্ত্রণায় ভুগতে হয়। অথচ ১৯৫🏅৯ সালে গঠিত মানসিংহ কমিটির পরিকল্পনায় প্রথম উঠে আসে ‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান’। তবে তা আজও হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বলেও টাকা মেলেনি বলে অভিযোগ রাজ্য সরকারের। গত দশ বছর ধরে এখানের সাংসদ দেব সংসদে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে লোকসভায় দরবার করেছেন। কিন্তু সাড়া মেলেনি। এবার দেব বলেছেন, ‘আমি জিতি বা হারি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে।’ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে অমিত শাহের মন্তব্য শোনার অপেক্ষায় ছিল ঘাটালবাসী। কিন্তু সবাই হতꦬাশই হয়েছেন। এই বিষয়ে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার এক নেতা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে কিছু বলবেন অমিতজি। জানি না কেন বললেন না। তবে বিজেপি এখানে জিতলে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হবে।’