জল্পনা ছিলই। আর সেই জল্পনা সত্যি করে উত্তর প্রদেশের পিলিভিট কেন্দ্র থেকে বিজেপি টিকিট দেয়নি বরুণ গান্ধীকে। পিলিভিটের মতো হাইভোল্টেজ কেন্দ্রে বিজেপির তুরুপের তাস জিতিন প্রসাদা। এই পরিস্থিতিতে বরুণ গান্ধীর রাজনৈতিক সফর কোনপথে যায়, তা নিয়ে চর্চার শেষ নেই। এদিকে, এরই মধ্যে পিলিভিটের জনতার প্রতি এক আবেগঘন চিঠি লিখলেন মানেকা গান্ধীর পুত্র বরুণ। মা মানেকা গান্ধীকে সুলতানপুর কেন্দ্রের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। এদিকে, পিলিভিটের মতো শক্তি জমি হাতছাড়া হয়েছে বিজেপির গান্ধীদের। এককালে এই পিলিভিটের মাটি থেকে তাবড় জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন মানেকা। পরবর্তীতে সেই রেশ ধরে রাখেন পুত্র বরুণও। তবে বিজেপিতে থেকে বেসুরো বরুণ গান্ধীকে নিয়ে বিজেপির স্টান্স নিয়ে বহুদিন চলছিল চর্চা। প্রশ্ন উঠছে বেসুরো হতেই কি পিলিভিটের টিকিট হাতছাড়া হল বরুণের? এই অবস্থায় পিলিভিটের জনতার প্রতি আবেগঘন চিঠিতে বরুণ গান্ধী লিখছেন, ‘এই চিঠি লিখতে বসে বহু স্মৃতি মনে পড়ছে, আর আমি আবেগঘন হয়ে উঠছি। আমার সেই ৩ বছরের ছোট ছেলেটাকে মনে পড়ছে, যখন সে মায়ের হাত ধরে ১৯৮৩ সালে পিলিভিটে এসেছিল…।’ তিনি লিখছেন, ‘আমার সৌভাগ্য এটাই যে, আমি পিলিভিটের জনতার সেবা করতে পেরেছি।’ বরুণের স্পষ্ট বার্তা, সাংসদ হিসাবে ‘যদিও আমার মেয়াদ শেষ হতে চলেছে... আমার সম্পর্ক (আপনার সাথে) আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত শেষ হতে পারে না।’ তিনি লিখছেন, ‘ আদর্শ, সরলতা এবং উদারতা... আমার লালন-পালন এবং বিকাশে একটি বিশাল অবদান ছিল’ পিলিভিটের। পিলিভিটের বিদায়ী সাংসদ লিখছেন, ‘ আপনাদের স্বার্থকেই সবচেয়ে আগে রেখেছি আমি।’ এরই সঙ্গে তাঁর আবেগঘন বার্তা,' হিসেবে না হলেও ছেলে হিসেবে আমি সারাজীবন আপনাদের সেবা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আপনাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকবে...আগের মতো। আমি রাজনীতিতে এসেছি সাধারণ মানুষের আওয়াজ তুলতে, এবং আজ আমি আপনার আশীর্বাদ চাই এই কাজটি সর্বদা চালিয়ে যেতে, তাতে যাই মূল্য চোকাতে হোক না কেন।'উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে পিলিভিট থেকে মানেকা গান্ধী জয়ী হন। এই আসন মানেকাকে নিরাশ করেনি ৬ বার। এই ৬ বার পিলিভিট থেকে তিনি জয়ী হয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির সাংসদ মানেকা যদিও পরে পিলিভিট কেন্দ্র ছেড়ে দেন। সেখানে ভোটে দাঁড়ান মানেকাপুত্র বরুণ গান্ধী। পিলিভিট কেন্দ্রে একটা সময় নির্দল হিসাবেও মানেকা জয়ী হয়েছেন। এবার প্রশ্ন, তাহলে কি বিজেপির টিকিট না পেয়ে পিলিভিটে বরুণও নির্দল হয়েই ভোটে লড়বেন?