লোকসভা নির্বাচন এখন গোটা দেশের কাছে সবচেয়ে চর্চিত বিষয়। প্রথম দফার ভোট হবে ১৯ এপ্রিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা হবে। যার মধ্যে বাংলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্র আছে। এই আবহে বড় খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে দেশের নেতা এবং নেত্রীরা যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কতগুলি ফৌজদারি অপরাধের অভিয❀োগ আছে। কোন অপরাধে তাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এমনকী কতজন প্রার্থী কোটিপতি। এই সমস্ত তথ্য সামনে নিয়ে এসেছে অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)।
এদিকে সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ১১৯৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন গোটা দেশে। যার মধ্যে ২৫০ জন হলফনামায় ঘোষণা করে দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। অর্থাৎ ২১ শতাংশ প্রার্থীর এমন তথ্য সামনে এসেছে। আর ৩৯০ জন প্রার্থী কোটিপতি। আর ৩২ জন প্রার্থী আছেন যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এঁরা সবাই এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দ্বিতীয় দফায়। ১১৯৮ জনের হলফনামার মধ্যে ১১৯২ জনের হলফনামা পরীক্ষা করে নানা তথ্য উঠে এসেছে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মসের (এডিআর) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৬৭ জনের বিরুদ্💃ধে গুরুত্বপূর্ণ ফৌজদারি অপরাধ রয়েছে। এই তালিকায় বিজেপির কে সুরেন্দ্রন ওয়াইনাড়ের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ২৪৩টি ফৌজদারি অপরাধ রয়েছে। ড. কে এস রাধাকৃষ্ণণ এর্নাকুলাম লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে ২১১টি ফৌজদারি মামলা আছে। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী ডিন কুরিয়াকোস ৮৮টি ফৌজদারি মামলায় জড়িত।
আরও পড়ুন: ‘অভিষেক দলের একজন একনি🔜ষ✅্ঠ সৈনিক’, আপনার যোগ্য উত্তরসূরি? জবাব দিলেন মমতা
অন্যদিকে যতজন গুরুত্বপূর্ণ ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে তাঁদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্♊ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। আর ২৪ জনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আছে। এমনকী যেটা লক্ষ্যণীয় বিষয়, ২৫ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে মহিলাদের উপর অত্যাচার করার অভিযোগ রয়েছে। একজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এঁরা সবাই লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী। সিপিআই এবং সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীদের বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তবে কংগ্রেসের ৬৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৩৫ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। আর বিজেপির ৬৯ প্রার্থীর মধ্যে ৩১ জন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা আছে।
এবার আসা যাক কোটিপতির হিসাবে। অ্যাসোসিয়েশন অফ ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) তাদের সমীক্ষায় জানাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি কোটিপতি প্রার্থী আছে বিজেপির। তারপর আছে কংগ্রেসের। বিজেপির ৬৯ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬৪ জনই কোটিপতি। আর কংগ্রেসের ৬৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬২ জন কোটিপতি। এরপর জেডিইউ, তৃণমূল কংগ্রেস, শিবসেনা (ইউবিটি), সমাজবাদী পার্টি এবং শিবসেনা বিপুল সম্পদের অধিকারী। ১৪০ জন প্রার্থী পাঁচ কোটি টাকার বেশি সম্পদ রয়েছে। ভেঙ্কটারামানে গৌড়া (কংগ্রেস), ডিকে ꦇসুরেশ (কংগ্রেস) এবং হেমা মালিনী (বিজেপি) সর্বোচ্চ সম্পদের অধিকারী বলে ঘোষণা করেছে। আবার ৬ জন এমন প্রার্থী আছেন যাঁদের সম্পদের পরিমাণ শূন্য। তাছাড়া ৫৭৪ জন প্রার্থী আছেন যাঁরা স্নাতক এবং ৮ জন অশিক্ষিত।