অবশেষে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী দিল। আর এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেলেন। কিন্তু কেমন প্রার্থী অভিজিৎ দাস? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিজিৎ দাস আরএসএস ঘনিষ্ঠ নেতা। খুব অল্প বয়সেই এখানে যোগ দেন তিনি। পরে রাজনীতিতে আসা। ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছিলেন। তবে দু’বারই হেরেছেন তিনি। একবার সোমেন মিত্রের কাছে। আর একবার অভিষেকের কা🔜ছে। তৃতীয়বারও কি হেরে হ্যাট্রিক করবেন? সেটা ৪ জুন জানা যাবে গণনার পর। এই প্রার্থী নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বলেন, ‘ভাল ভাল ভাল।’ আর তা নিয়েই এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে খুব পরিচিত মুখ নন অভিজিৎ দাস। রাজ্য–রাজনীতিতে তেমন ক্যারিশ্মা নেই। বহুদিন বিজেপির সঙ্গে আছেন বলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। এই এলাকায় অভিজিৎ ‘ববিদা’ নামে পরিচিত। রাজ্য বিজেপির নির্বাচন পরিচালন কমিটিতে আছেন অভিজিৎ। একদা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির সভাপতিও ছিলেন। ১৯৬৯ সালে আমতলায় অভিজিতের জন্ম।ꦜ বাবা বীরেন্দ্রকুমার দাস ছিলেন সরকারি কর্মী। অভিজিৎ ১৫ বছর বয়সেই তাঁর পিতৃবিয়োগ ঘটে। উদয়রামপুর পল্লীশ্রী শিক্ষায়তন থেকে মাধ্যমিক পাশ করে মেদিনীপুর বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন অভিজিৎ। তখন থেকেই সঙ্ঘে তাঁর যাতায়াত।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ২৯ জন মা♉ওবাদীকে নিকেশ করল যৌথবাহিনী, ছত্তিশগড়ꦯে তুমুল গুলির লড়াই
অন্ꦜযদিকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর সুরেন্দ্রনাথ কলেজে ভর্তি হন অভিজিৎ দাস। তখন ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সঙ্গে যুক্ত হয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে হাতেখড়ি নেন। তারপরে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহশালা বিদ্যা ও গ্রন্থাগার বিজ্ঞান নিয়ে স্নাত✱কোত্তর করেন। আইন নিয়েও পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে সঙ্ঘ পরিবারে অভিজিৎ যোগ দেন। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান। ৩৭ হাজার ভোট পান তিনি। আর ২০১৪ সালে আবার টিকিট পেয়ে গোহারা হন। কারণ ৫ লক্ষের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’লক্ষের সামান্য বেশি ভোট পান অভিজিৎ। তবে ২০১৯ সালে বিজেপি অভিজিৎকে টিকিট না দিয়ে প্রার্থী করেছিল নীলাঞ্জন রায়কে।