সম্পদ পুনর্বণ্টন থেকে শুরু হওয়া বিতর্ক এখন উত্তরাধিকার কর ইস্যুতে গিয়ে ঠেকেছে। আর এর নেপথ্যে আছেন গ🌟ান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ স্যাম পিত্রোদা। ইন্ডিয়ান ওভারসিস কংগ্রেসের প্রধান পিত্রোদা মার্কিন উত্তরাধিকার আইনের উদাহরণ টেনে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, ভারতেও এমন কোনও এক আইন আনা উচিত। তাতে করে একজন মারা গেলে, তাঁর সম্পত্তির প্রায় আর্ধেক চলে আসবে সরকারের হাতে, আর বাকি আর্ধেকই তাঁর সন্তান উত্ꦬতরাধিকার সূত্রে পাবে। আর স্যাম পিত্রোদার এহেন প্রস্তাবের পর থেকেই চরম অস্বস্তিতে আছে কংগ্রেস। হাত শিবির এই ইস্যুতে পিত্রোদার মন্তব্যকে তাঁর ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করে দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন।
আজ এক নির্বাচনী জনসভা থেকে মোদী এই বিষয়ে কংগ্রেসকে তোপ দেগে বলেন, 'রাজপরিবারের যুবরাজের উপদেষ্টা এবং রাজপরিবারের যুবরাজের বাবার উপদেষ্টা 🐈মধ্যবিত্তের ওপর আরও কর আরোপ করার কথা বলেছিলেন। এখন এই লোকেরা এর থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস বলছে যে এটি একটি উত্তরাধিকার কর আরোপ করবে। অর্থৎ, বাবা-মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত উত্তরাধিকারের উপরও কর আরোপ করবে। আপনার পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি যে সম্পত্তি সঞ্চয় করেছেন তা আপনার সন্তানদের দেওয়া হবে না। কংগ্রেস তাও আপনার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেবে... যতদিন আপনি বেঁচে থাকবেন, কংগ্রেস উচ্চতর কর আরোপ করবে এবং আপনি যখন আর বেঁচে থাকবেন না, তখন এই দল উত্তরাধিকার করের বোঝা চাপিয়ে দেবে। যারা সমগ্র কংগ্রেস পার্টিকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে তাদের সন্তানদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন, তারা এখন চান না ভারতীয়রা তাদের সম্পত্তি তাদের সন্তানদের কাছে হস্তান্তর করুক।'
এদিকে অমিত শাহ এই ইস্যুতে আজ সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেন, 'স্যাম পিত্রোদার এই মন্তব্যের পর কংগ্রেস দলের ইচ্ছে পুরোপুরি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। প্রথমত, তাদের ইস্তাহারে 'সমীক্ষা'-র উল্লেখ আছে। এর আগে মনমোহন সিং বলেছিলেন, যে দেশের সম্পদের ওপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার রয়েছে। এবং এখন স্যাম পিত্রোদার মন্তব্য, আমেরিকার আইনকে উদ্ধৃত করে সম্পদের বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। এখন যখন প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ইস্যুটি উত্থাপন করেছেন, রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং সমগ্র কংগ্রেস দল ব্যাকফুটে রয়েছে। তখন তাঁরা দাবি করেন, যে এটা তাদের উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু আজ স্যাম পিত্রোদার বক্তব্য দেশের সামনে কংগ্রেসের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দিয়েছে। তারা দেশের জনগণের ব্যক্তিগত সম্পত্তির সমীক্ষা করতে চায়, তারপর সরকারি সম্পত্তিতে পরিণত করে ইউপিএ-র শাসনামলে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিতরণ করতে চায়। কংগ্রেসের হয় তাদের ইস্তাহার থেকে এটি প্রত্যাহার করা উচিত, নয়তো মেনে নেওয়া উচিত যে প্রকৃতপক্ষে তাদের এটাই উদ্দেশ্য ছিল... আমি চাই🔥 জনগণ স্যাম পিত্রোদার বক্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করুক। তাদের অভিপ্রায় এখন প্রকাশ্যে এসেছে। জনগণের তা বোঝা উচিত।'