২০ দিন ‘নিখোঁজ’ থাকার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়া কংগ্রেসের সুরাটের সেই নেতা নীলেশ কুম্ভানি। আর সামনে আসতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’র অভিযোগ তুললেন ওই নেতা। তাঁর দাবি, কংগ্রেস তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। শুরুটা কংগ্রেসে করেছিল। কংগ্রেসই প্রথম তাঁরꦑ প্রতি অন্যায় করেছিল।
আরও পড়ুনঃ সুরাটে প্রার্থী বিভ্র🥃াট নিয়ে কড়া কংগ্রেস, বিজেপি যোগে নীলেশকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড
নীলেশ দাবি করেছেন, গুজরাটের কংগ্রেস সভাপতি শক্তিসিংহ গোহিল এবং দলের রাজকোট লোকসভার প্রার্থী পরেশ ধাননির প্রতি শ্রদ্ধার কারণে তিনি এতদিন চুপচাপ ছিলেন। নীলেশ অভিযোগ করে বলেন, ‘কংগ্রেস নেতারা আমার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ করছেন। তবে সত্যি হল কংগ্রেসই ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আমার সঙ্গে প্রথম বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তখন সুরাটের কামরেজ বিধানসভা আসন থেকে আমাকে প্রার্থী করা হবে বলে জানানো হয়েছিল।♓ কিন্তু, শেষ মুহূর্তে টিক🐲িট বাতিল করা হয়েছিল। কংগ্রেসই প্রথম ভুল করেছিল, আমি নয়।’
নীলেশ কুম্ভানি আরও বলেন, ‘আমি এটা করতে চাইনি। কিন্তু আমার সমর্থকরা, দলের কর্মীরা বিরক্ত হয়েছিলেন। কারণ সুরাটে♛ পাঁচ জন স্বঘোষিত নেতা দলকে নিজেদের মতো করে পরিচালনা করছেন। তাঁরা নিজেরা কাজ করেন না বা অন্যদের কাজ করতে দে𝕴ন না।’
তাহলে কি প্রতিশোধ মূলকভাবে এই কাজ করেছিলেন নীলেশ কুম্ভানি?
তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অবশ্য সরাসরি উত্তর দেননি কংগ্রেস নেতা।🍰 তিনি ২০১৭ সালের টিকিট বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণকেই উল্লেখ করেছেন।
নীলেশের মনোনয়ন বাไতিল হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। তাঁর মনোনয়নপত্রে প্রস্তাবকদের নকল স্বাক্ষর ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল। পরে নীলেশের প্রস্তাবকেরাও স্বাক্ষর তাঁদের নয় বলে জানান। ফলে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর থেকে নীলেশের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়।
এ༺কইভাবে, সুরাট থেকে কংগ্রেসের বিকল্প প্রার্থী সুরেশ পদশালার মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়। এরপর একে একে অন্যান্য প্রার্থীরাও মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন বিজেপির মুকেশ দালাল। অভিযোগ, ওঠে বিজেপির সঙ্গে পরিকল্পনা করেই ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করেছিলেন নীলেশ। এবার তার জবাব দিলেন কংগ্রেস নেতা।
উল্লেখ্য, নীলেশ কুম্ভানি এর আগে সুরাট পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর ছিলেন। 🔯এছাড়া, কামরেজ থেকে ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ൩লড়েছিলেন। কিন্তু, বিজেপির কাছে হেরে গিয়েছিলেন।