বাজেটে জনতুষ্টির জন্য পদক্ষেপ নয়, দক্ষিণ ভারতে দলের সম্ভাব্য ফলাফল, সন্দেশখালি থেকে কর্ণাটকে জোটসঙ্গী দলের নেতার বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ সহ একাধিক ইস্যুতে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে একান্তে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সুকুমার, শিশির গুপ্ত এবং সুনেত্রা চৌধুরীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদী দাবি করেন, বিরোধীরা জোটবদ্ধ হয়েও এবারে এনডিএ-র বিরুদ্ধে ভালো করতে পারবে না। মোদীর কথায়, গত ১০ বছরে তাঁর সরকারের কাজকর্মই হবে ২০২৪-এর রায় নির্ণায়ক ফ্যাক্টর। এদিকে সন্দেশখালি থেকে শুরু করে কর্ণাটকে জেডিএস প্রার্থীর যৌন হেনস্থার ঘটনা প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের ওপরেই দায় চাপালেন মোদী। (আরও পড়ুন: হাꦬওড়া থেকে চালু নয়া স্পেশাল ট্রেন, কতক্ষণে NJP পৌঁছে দেবে বন্দে ভারতের 'বদলি'?)
আরও পড়ুন: '…ভাতা দেওয়া যাবে না', বড🧔় রায় সুপ্রিম কোর্টের, সরকারি কর্মীদের মাথায় পড়বে হাত
হিন্দুস্তান টাইমসকে মোদী বলেন, তাঁর সরকার কাজ করে। তাই মানুষের মন ভোলানোর জন্য কোনও প্রতিশ্রুতি বা পদক্ষেপ তাঁর সরকারকে করতে হয় না। তাঁর কথায়, 'মানুষ বুঝতে পের🧸েছে যে আমরা গত ১০ বছর ধরে তাদের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছি। মানুষ তার জীবনে ঘটে যাওয়া পরিবর্তনগুলি বুঝতে পেরেছে। আমাদের ট্র্যাক রেকর্ডের কারণেই নির্বাচনে আমাদের কোনও লোকরঞ্জনবাদী পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি।' এদিকে চলতি বছরের গোড়ার দিকে অন্তর্বর্তী বাজেটে কোনও 'নির্বাচনী ছাড়' না দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোদী বলেন, 'মানুষ এটাকে আমাদের সরকারের আন্তরিক আচরণের লক্ষণ হিসেবে দেখছে। নির্বাচনভিত্তিক ঘোষণায় নয়, রাজস্ব আদায়ের🏅 দিকে মনোনিবেশ করার জন্য সরকার প্রশংসা পেয়েছিল সেই বাজেটে।'
আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখার লোকাল ট্রেন যাত্রীদের 'অপেক্ষা'☂ বাড়ল, বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল
মোদী বলেন, 'এনডিএ যে গতি ও মাত্রার সঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, অর্থনীতিকে 💯চাঙ্গা করতে, মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, বিমানবন্দর ও মহাসড়কের সংখ্যা বাড়াতে, স্বাস্থ্যসেবা বাড়াতে এবং অনলাইন পেমেন্টে জোর দেওয়ার ক্ষেত্রে সাফল্য পেয়েছে, ভারতের মানুষ তা দেখেছেন।' মোদীর কথায়, 'এই ১০ বছরে আমরা বিশ্বকে দেখিয়েছি যে, সত্যিকারের অগ্রগতি হল প্রত্যেক নাগরিকের ক্ষমতায়ন। সবাই যাতে সফল হতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদ𓂃ান করছে সরকার। আমাদের লক্ষ্য গরিবদের ক্ষমতায়ন, তাদের উন্নতির সুযোগ তৈরি করা।'
আরও পড়ুন: এবার হাওড়া থেকে সাঁ🎃তরাগাছি র൲ুটে চালু হবে মেট্রো? সামনে এল বড় 'পরিকল্পনা'
এদিকে বিরোধীদের 'মানুষের সম্পদ ছিনি🍌য়ে নেওয়া বা ধর্ম ভিত্তিক সংরক্ষণ' নীতির কথা তুলে ধরেন মোদী। এই বিষয়ে মোদী বলেন, 'আমাদের নীতিগুলি দরিদ্রদের উন্নতির উদ্দেশে কেন্দ্রীভূত। আমরা নিশ্চিত করি যে দেশের গরিবরাই আমাদের সমস্ত প্রকল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ... আর বিরোধীরা শুধু চায় মোদীকে সরাতে। এ ধরনের পশ্চাৎপদ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ফাঁদে মানুষ আর পা দেবে না।' মোদীর কথায়, 'তফসিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসিদের সংরক্ষণ কেড়ে নিয়ে ধর্মের ভিত্তিতে অসাংবিধানিকভাবে তাদের ভোট ব্যাঙ্কের হাতে তা তুলে দেওয়াই যদি কংগ্রেসের লক্ষ্য হয়, তাহলে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। এমন পরিস্থিতিতে চুপ করে থাকাটা ভুল হবে। কংগ্রেসই ধর্ম ও বিভাজনমূলক বিষয়গুলিকে আলোচনায় আনছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসাবে আমরা তাদের উদ্বেগগুলিও প্রতিফলিত করব। এই ইস্যুতে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাব দিতে হবে কংগ্রেসকে।'
আরও পড়ুন: 'আদালত✤ের নির্দেশ না মেনে' মে'র বে𒆙তন কাটা যাবে সরকারি শিক্ষকদের! জারি বিজ্ঞপ্তি
এদিকে বিজেপি কি আত্মতুষ্টিতে ভুগছে? এই প্রশ্নের জবাবে মোদীর সাফ বক্তব্য, 'একটা নির্বাচনে জিতেছি বলে পরের নির্বাচন পর্যন্ত আমরা আমার ম করব, এর জন্য আমরা দল গঠন করিনি। প্রতি নির্বাচনে জয়🌟কে আমরা একটি কর্তব্য হিসেবে বিবেচনা করি। আমাদের কার্যকর্তারা সবসময় সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক মানুষের কাছে সেবা নিয়ে পৌঁছে যায়। আমাদের ভিশন ক্রিস্টাল ক্লিয়ার, অর্থাৎ ২০৪৭ সালের জন্য ২৪x৭ কাজ করা। তাই বিজেপির অন্দরে আত্মতুষ্টির কোনও সুযোগ নেই। আমরা এখানে ২০৪৭ সালের🅷 মধ্যে বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণ করতে এসেছি।'
আরও পড়ুন: মিটবে দুর্ভোগ, বড় কাজ শেষ করল রেল, দমদম থেকে ট্র🐬েনে চাপা য꧋াত্রীদের জন্য স্বস্তি
এদিকে কর্ণাটকে বিজেপির জোটসঙ্গী জনতা দল সেকুলার নেতা প্রজ্জ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে যে যৌন হেনস্থা এবং ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়েও মুখ খোলেন মোদী। প্রসঙ্গত, এর আগে মোদী প্রজ্জ্বলের হয়ে প্রচারেও গিয়েছিলেন। এই আবহে রেভান্না ইস্যু নিয়ে মোদী বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আইনের চোখে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিক সমান। সন্দেশখালি হোক বা কর্ণাটক, যারাই এই ধরনের জঘন্য কাজ করেছে, সে যে দলেরই হোক না কেন, তাদের কঠোরতম পরিণতি ভোগ করতে হবে। কঠোরতম শাস্তি ভোগ করতেই হবে।' পশ্চিমবঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে জমি দখল, শোষণ ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, 𓆏'আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা রাজ্য সরকারের কর্তব্য। তা ভারতের যে অংশেই হোক না কেন।' উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে যে সব রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, যে দুই মহিলা তাদের অভিযোগ প্রত্যাহার করেছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধরের একের পর এক স্টিং অপারেশন ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসছে।