এগিয়ে চলেছে ভোটগ্রহণ। চলছে লোকসভা নির্বাচন🐈 ২০২৪। ৪ জুন ফলাফল প্রকাশের আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে অবাক তথ্য। জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের সাত ধাপে বিজেপি এবং কংগ্রেসের যে ৭৬৮ জন প্রার্থীরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রার্থীর কাছে পাঁচ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সম্পদ রয়েছে। আবার তাঁদের মধ্যে ২৭ শতাংশেরও কিছু বেশি অংশের প্রার্থীরা 'বংশগত' বা উত্তরাধিকার সূত্রে নির্বাচꦕন লড়ার জন্য টিকিট পেয়েছেন। সম্প্রতি, একটি অলাভজনক সংস্থা দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, এমনটাই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রজাতন্ত্র ফাউন্ডেশনের একটি নতুন সমীক্ষা ভারতের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের একটি গভীর চিত্র তুলে ধরেছে, যা চলমান লোকসভা নির্বাচনের সময় প্রার্থী নির্বাচনে সম্পদ এবং ব𒅌ংশের আধিপত্য সম্পর্কে জানান দেয়।
নেপোকিড কতজন
প্রজাতন্ত্র ফাউন্ডেশনের গবেষণায় আরও প্রকাশ করা হয়েছে যে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে 'আর্থিক অবস্থা' এবং 'বংশগত পটভূমি' মূল পর্যায়। অর্থাৎ পরিবারতন্ত্র বড় ফ্যাক্টর। আর যাঁরা বংশগত ভাবে রাজনীতিতে আসেননি। কিংবা উত্তরাধিকার সূত্রে লাইফ সেভিং সুযোগটি পাননি, সেই সমস্ত প্রার্থীদের জন্য সবচেয়ে সাধারণ পথ হল দলীয় সাংগঠনিক রাজনীতি, ১৫.৪ শতাংশ ক্ষেত্রে এম🌞নটাই দৃশ্যমান। এছাড়াও অনেকেই স্থানীয় রাজনীতি করে এগিয়ে এসেছেন বা আসছেন, ১২.২ শতাংশ ক্ষেত্রে তা দেখা গিয়েছে এবং এছাড়াও রয়েছে ছাত্র রাজনীতি, খুব বেশি হলে ৯.৫ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি দেখা গিয়েছে।
আবার যে ২৭.৬ শতাংশ প্রার্🅰থী বংশগগত ভাবে রাজনীতির ঝান্ডা নিয়ে লড়ছেন, তাঁদের মধ্যে ৭১.২ শতাংশ বংশের দ্বিতীয় প্রজন্মের রাজনীতিবিদ অর্থাৎ বর্তমান রাজনীতিবিদদের ছেলে, মেয়ে, ভাগ্নি বা ভাগ্নে। আর বাকি আরও ২৫ শতাংশ হলেন প্রথম প্রজন্মের নেতা বা নেত্রী, অর্থাৎ তারা বর্তমান রাজনীতিবিদদের ভাই, বোন বা স্ত্রী কিংবা স্বামী। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে, আনুমানিক আরও ৩ শতাংশ বংশগত সূত্রে অধিকার পাওয়া প্রার্থী বহু-প্রজন্মের রাজনৈতিক পরিবার থেকে এসেছেন।
প্রতিবেদনে আরও তুলে ধরা হয়েছে যে কীভাবে কর্ণাটক, বিহার এবং মহারাষ্ট্রে বৃহত্তর রাজ্যগুলির মধ্যে বংশগত সূত্রে অধিকার পাওয়া প্রার্থীদের সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। হরিয়ানার মতো ছোট রাজ্যগুলিও এই ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, বিজেপি ও কংগ্রেস দুটি দলই মাত্র ১৩.৪ শতাংশ নারী 🍌প্রার্থীদের টিকেট দিয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে আবার ৫০ শতাংশে🍰রও বেশি ক্ষেত্রে বংশবাদী পটভূমি রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে অপরাধমূলক রেকর্ডের ব্যাপকতা অনুসারে, ৩৮.৮ শতাংশ প্রার্থীর অপরাধমূলক পূর্বসূরি রয়েছে। সমীক্ষা অনুসারে, কমপক্ষে ৮১ শতাংশ প্রার্থীর এক কোটি বা তার বেশি মূল্যের সম্পদ রয়েছে।