বর্ধমান – দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের সমর্থনে দেওয়াল লেখায় চাকরি খোয়াতে হল দুর্গাপুরের দুই বিজেপি কর্মীকে। সুভাষ গোপ, মিলন মণ্ডল নামে দুই বিজেপি কর্মী দুর্গাপুরের♉ শোভাপুর গ্রামের বাসিন্দা। শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মী ছিলেন তাঁরা। অভিযোগ দিলীপ ঘোষের সমর্থনে প্রচার করায় তাঁদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকী তৃণমূলের সামনে মাথা নত করলে চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে প্রস্তাবে রাজি হননি ২ বিজেপি কর্মী।
দিলীপ ঘোষের দেওয়াল লিখেছিলেন ২ বিজেপি কর্মী
ไসুভাষ গোপ ও মিলন মণ্ডল হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁরা ২ জনেই সক্রিয় বিজেপি কর্মী। মিলন মণ্ডলের বাবা জয়দেব মণ্ডল বিজেপির স্থানীয় নেতা। সুভাষ গোপ সংসারের একমাত্র রোজগেরে। চাকরি খুইয়ে সংসার কী ভাবে চলবে এই ভেবে এখন রাতের ঘুম চলে গিয়েছে এই দুই বিজেপি কর্মীর।
🥂চাকরি হারা ২ বিজেপি কর্মীর দাবি, পার্টি অফিসে গিয়ে মাথা নওয়লে ফেরত পাওয়া যাবে চাকরি। এমন প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। কিন্তু তৃণমূলের প্রস্তাবে রাজি হননি ওই ২ বিজেপি কর্মী। দলের সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের
বিজেপি কর্মীদের করা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল𒈔। তাদের দাবি, কাজ ঠিক মতো না করায় ওই ২ ব্যক্তিকে অপসারণ করা হয়ে থাকতে পারে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।
দিলীপ ঘোষের হুঁশিয়ারি
𒉰বর্ধমান - দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘যারা দেওয়াল লেখায় আমাদের ২ কর্মীকে ছাঁটাই করে দিয়েছে তাদের বলতে চাইছি। চামচাগিরির একটা সীমা আছে। কে কী পার্টি করবে তুমি ঠিক করতে পারো না। শয়ে শয়ে কারখানা যারা বন্ধ করে দিয়েছে তোমার কারখানা তারাই একদিন বন্ধ করবে। আমার পায়ে পড়তে হবে যে কারখানা খুলে দেও। এই রাজনীতি যদি করো, দিলীপ ঘোষ কিন্তু ভোটের পরে হিসাব নেবে।’
ꦛমিলন মণ্ডলের বাবা জয়দেব মণ্ডল বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বিজেপি করি। ভোটে বিজেপির হয়ে দেওয়াল চুন করেছি। দেওয়াল লিখেছি। তাই আমার ছেলেকে বসিয়ে দিয়েছে। আমার ছেলে ওখানে ৪ – ৫ বছর ধরে কাজ করে।’
♊সুভাষ গোপ বলেন, ‘আমি বিজেপি করি। আমি বিজেপির দেওয়াল লিখছিলাম। কিছু তৃণমূলের লোক সেটা দেখেছিল। তারা আমার কাজ খেয়ে নিয়েছে। আমাকে বলেছে বিজেপির হয়ে প্রচার করতে পারবি না।’