যোগেশ যোশী
তিন দশক ধরে বিজেপির দুর্গ বলে পরিচিত পুনের কসবা পেঠ বিধানꩲসভা কেন্দ্র। সেই কেন্দ্রে জয় পেল মহা বিকাশ অগরি।বিজেপির দুর্গে ফাটল ধরাল বিরোধী জোট। কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই হয়েছিল এই আসনে। এই আসনে জয় পেয়েছেন রবীন্দ্র ধনগেকর। তিনি পেয়েছেন ১০,৯১৫ ভোট। আর জয় যেন বার্তা দিল জোট বেঁধে লড়াই হলে মহারাষ্ট্রে শাসক বিজেপি-শিবসেনাকেও পরাস্ত করা সম্ভব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করলে ♕এই জয় পাওয়া সম্ভব। উপনির্বাচনের এই জয়ে যথেষ্ট খুশি এমভিএ শিবির।
কীভাবে এই জয় হাসিল করা সম্ভব হল?
একেবারে শক্তপোক্ত প্রার্থী দাঁড় করানো, তুমুল প্রচার করা, বিক্ষুব্ধরা যাতে সমস্য়া তৈরি করতে না পারে তার জন্য় নানা ব্যবস্থা করা, জোটকে মেনে পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস রক্ষা করার মতো ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে গিয়েছে তারা। এদিকে প্রথম থেকে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় বিজেপি। মুকুলতা তিলকের মৃত্যুর পরেই এই আসনে ভোট হয়েছিল। কিন্তু তিলকের পরিবার থেকে কাউকে প্রার্থী করেনি বিজেপ🌳ি। এর জেরে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় কিছুটা ক্ষুব্ধ ছিলেন। এসবের প্রভাব পড়ে এই ভোটের লড়াইতে।
এই আসনে কার্যত এতদিন অপরাজিতꦯ ছিল বিজেপি। তবে সেই মিথকে উড়িয়ে দিয়ে জয় পেল মহা বিকাশি অগরি জোট। মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে কসবা পেঠের জনতাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রকে নষ্ট করছে বিজেপির নীতি। এদিকে এই জোটের মধ্য়ে ছিল এনসিপি। তাদের মতে, কংগ্রেস এমন একজন উপযুক্তকে প্রার্থীকে করেছিল যে জয় হাসিল করা সহজ হয়েছে।
এদিকে শ♓িবসেনার (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, এটা ২০২𝔉৪ সালের পরিবর্তনের ইঙ্গিত।
এদিকে এদিন এমভিয়ের জোট শরিকরা একযোগে কংগ্রেস প্রার্থীর জয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন। বিজেপির মুখপাত্র কেশব উপাধ্যায় জানিয়েছেন কসবা পেঠ বিধানসভায় পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে দল। তবে এটা জনতার সামগ্রিক মনোভাবের প্রকাশ নয়। ব🐷র্তমানে বিজেপির হার নিয়ে যারা উল্লাস প্রকাশ করছে তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই ২০১৮ সালের কথা। সেই সময় উপনির্বাচনের বিজেপির হার হয়েছিল। ২৮২ থেকে ২৭২ হয়ে গিয়েছিল বিজেপি। তবে তখন অনেকেই বলতেন এবার হয়তো বিজেপি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপি বিপুল ক্ষমতা নিয়ে ফিরে এসেছে। এটা মনে রাখতে হবে।