রায়না তফসিলি জাতি কেন্দ্রে এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন শম্পা ধাড়া। এই আসনে বিজেপির তরফে দাঁড়াচ্ছেন মানিক রায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন বাসুদেব খাঁ। ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বর্ধমান জেলা বিভক্ত হয়ে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়।পূর্ব বর্ধমান মূলত কৃষি প্রধান জেলা। একে পশ্চিম বঙ্গের শস্যভাণ্ডার বলা হয়। জেলার বৃহত্তম শহর বর্ধমান। ধান এই জেলার প্রধান ফসল। এছাড়া পাট, আলু, পেঁয়াজ, আখ হয়। রায়না পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। রায়না বিধানসভা (তফলিসি জাতি) কেন্দ্রটি রায়না-২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং হিজলনা, নাটু, পালসোনা, সেহারা, নারুগ্রাম, শ্যামসুন্দর এবং রায়না গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি রায়না-১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলির অন্তর্গত।২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের স্বপন সামন্ত রায়না কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের নিত্যানন্দ তাহকে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে সিপিএমের শ্যামাপ্রসাদ পাল, তৃণমূল কংগ্রেসের অরূপ কুমার দাস ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের অরবিন্দ ভট্টাচার্যকে পরাজিত করেছিলেন।১৯৯১ ও ১৯৮৭ সালে সিপিএমের ধীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের সুনীল দাস, কংগ্রেসের উদয়শংকর সেন ও ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের সুকুমার চট্টোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিলেন।১৯৭৭ সালে সিপিআইএমের রামনারায়ণ গোস্বামী কংগ্রেসের অজিতকৃষ্ণ ভট্টাচার্যকে এই আসনে পরাজিত করেছিলেন।১৯৭২ সালে কংগ্রেসের সুকুমার চট্টোপাধ্যায় এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৭১ সালে সিপিআইএমের গোকুলানন্দ রায় জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে সিপিআইএমের পাঁচুগোপাল গুহ এই আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৬৭ সালে পিএসপি—র দশরথি তাহ জয়ী হয়েছিলেন। তার আগে ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের প্রবোধকুমার গুহ জিতেছিলেন। ১৯৫৭ ও ১৯৫১ সালে এই কেন্দ্রে যৌথ আসন ছিল। ১৯৫৭ সালে পিএসপি’র দশরথী তাহ ও গোবর্ধন পাকরায় উভয়ই এই যৌথ আসনে জয়ীহয়েছিলেনন। ১৯৫১ সালে দেশের প্রথম নির্বাচনে কেএমপিপি’র দশরথি তাহ ও মৃত্যুঞ্জয় প্রামাণিক উভয়ই রায়না কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।