হবিবপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সরলা মুর্মুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। তারইমধ্যে ‘শারীরিক অসুস্থতার’ কারণে তাঁকে হবিবপুরের প্রার্থীপদ থেকে সরিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। পরিবর্তে প্রদীপ বাক্সেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে।গত শুক্রবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় হবিবপুর থেকে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সরলাকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই শীর্ষ নেতৃত্বের সেই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে তৃণমূলের একটি অংশ। ‘বহিরাগত’ প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে তৃণমূলের দলীয কার্যালয়ের ভিতরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। একইসঙ্গে হবিবপুর আসনে টিকিট পেয়ে সরলার 'গোঁসা' হয়েছিল।সরলার ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, সরলা প্রথমেই জানিয়েছিলেন যে তিনি হবিবপুরে দাঁড়াতে চান না। মালদহ আসনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের তরফে সেই ‘কঠিন’ হবিবপুরেই সরলাকে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করেন সরলা। যিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। সেইমতো রবিবার রাতে কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপি যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর।কিন্তু হবিবপুরকে কেন ‘কঠিন’ আসন হিসেবে ধরা হচ্ছে? একটি মহলের দাবি, গতবার বিধানসভা ভোটে সেখানে জিতেছিলেন জোট প্রার্থী খগেন মুর্মু। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে তিনি বিজেপিতে চলে যান। পরে উত্তর মালদহ থেকে লোকসভায় জিতেও যান। ফাঁকা হবিবপুর আসনে উপনির্বাচনে প্রায় ৩০,০০০ ভোটে জেতেন বিজেপি প্রার্থী জোয়েল মুর্মু। এবারও তিনি দাঁড়ানোর সম্ভাবনাই বেশি। সেক্ষেত্রে সরলা হয়ত ভাবছিলেন, তাঁর পরাজয় অবশ্যম্ভাবী। বরং মালদহে নিজের ‘প্রতিপত্তি’ বেশি থাকায় সেখানেই টিকিট সেখানেই চেয়েছিলেন। যদিও প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর এভাবে প্রার্থী পরিবর্তন করতে হওয়ায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। সরকারিভাবে ‘শারীরিক অসুস্থতার’ কারণ দর্শানো হলেও তাপস রায় জানান, অনেকেই ‘শারীরিক অসুস্থতা’ বলে সরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সঙ্গে তিনি যোগ করেন, প্রত্যেকের নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সমীকরণ থাকে। কার কী রুচি, কার কী বাধ্যবধকতা থাকে, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।