👍 কিছু মাস আগে সুশীল কুমার নামের জনৈক এক ব্যবসায়ী বলিউড তারকা ধর্মেন্দ্র এবং ধাবার দুই মালিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে এক মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই ব্যবসায়ী মামলা করার পর গতবছর পাঁচ ডিসেম্বর দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট ধর্মেন্দ্র এবং বাকি দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিল।
🃏সুশীল কুমারের দাবি অনুযায়ী, গরম ধরম ধাবা- এর ফ্রাঞ্চাইজি থেকে লাভের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ধর্মেন্দ্রর নাম করে উত্তর প্রদেশে এই ধাবার একটি ফ্রাঞ্চাইজি খোলার কথা বলে সুশীল কুমারকে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন ধাবার দুই অংশীদার। ধাবার ফ্র্যঞ্চাইজি থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ উপার্জন হবে বলে সুশীল কুমারকে প্রলোভন দেখিয়েছিলেন ওই দুই ব্যক্তি।
ꦕসুশীল কুমারের আরও অভিযোগ, ওই দুই ব্যক্তি তাঁকে জানিয়েছিলেন, দিল্লি এবং হরিয়ানার রেস্তরাঁ থেকে অন্ততপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা লাভ হয় প্রতিমাসে। তিনি যদি ৪১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে ৭ শতাংশ লাভ হবে তাঁর। শুধু তাই নয়, উত্তরপ্রদেশের ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন তিনি।
🌠দিল্লির ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে বেশ কয়েক দফায় কথা হয় ধাবার দুই অংশীদারের। শেষ পর্যন্ত ৬৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ এবং একটি জমির ব্যবস্থা করতে বলা হয় সুশীল কুমারকে। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সুশীল কুমার টাকা দিয়েছিলেন চেকে। টাকা দেওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখেননি অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন: ༒'এ তো দুই তারকার মিশ্রণ!' গোবিন্দার ছেলেকে দেখে কাদের কথা মনে পড়ল নেটিজেনদের?
♏শুধু অর্থের লেনদেনে সমস্যা হয়েছে তা নয়, সুশীল কুমার ইউপির কাছে হাইওয়েতে একটি জমিও কিনেছিলেন ব্যবসার জন্য। জমি কেনার পর থেকে বারবার অভিযুক্তদের ডাকা হলেও তাঁরা জমি পরিদর্শন করতে আসেননি একবারও।
𝐆সমন জারি করার পরেই অভিযুক্তদের মধ্যে একজন দায়রা আদালতে সেই সমনকে চ্যালেঞ্জ করেন, যার ফলে গত ২০ ডিসেম্বর অতিরিক্ত দায়রা জজ ধীরজ মোর সুশীল কুমারের নোটিশ জারি করেন। কিন্তু ২০২৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শুনানির সময় দায়রা আদালতকে জানানো হয় যে বিষয়টি বন্ধুত্বপূর্ণভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছেন সুশীল কুমার।