সাল ২০১৫। মেয়ের মুখেভাতের পরিকল্পনা নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। সঙ্গে মেগা সিরিয়ালের শ্যুটিং-এর ব্যস্ততা। সℱেই সময় ‘জল নূপূর’-এ লালের চরিত্রে দেখা যাচ্ছিল তাঁকে। কিন্তু ১৫ই মে রাতে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ রনি চক্রবর্তীর। সন্তোষ🍬পুরের সার্ভে পার্কের বাড়ির কাছের পুকুর থেকে মাঝরাতে উদ্ধার হয় অভিনেতার মরদেহ।
এই মৃত্যুতে কার্যত থমকে গিয়েছিল ইন্ডাস্ট্রি। এরপর কেটেছে ৯ বছর কিন্তু ইন্ডাস্ট্রি আজও ভোলেনি প্রতিভাবান অভিনেতা রনিকে। ২৪শে ফেব্রুয়ারি রনির জন্মবার্ষিকী। এদিন ফেসবুকে রনির সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করলেন পরিচালক-প্রযো🗹জক স্বর্ণেন্দু সামাদ্দার। সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ড হাতে রনির ছবি শেয়ার করেন তিনি। আশ্চর্যজনকভাবে আগামিকাল অনুষ্ঠিত হবে সোনার সংসার অ্যাওয়ার্ডের নতুন এডিশন।
বন্ধু রণির উদ্দেশ্যে ‘রাঙা বউ’ পরিচালক লেখেন,🎉 ‘শুভ জন্মদিন রনি, এখনও রোজ তোকে মিস করি। কতোটা মিস করি তুই নিজেও জানিস!! ভালো থাকিস, যেখানেই আছিস’।
দুর্দান্ত সাঁতারু ছিলেন রনি। জাতীয় স্তরে সাঁতার কেটেছেন। তাঁর জলে ডুবে মৃত্য়๊ু? মানতে পারেনি পরিবার। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পাকস্থলীতে মাদক মেলেনি প্রয়াত অভিনেতার। রনির স্ত্রী খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। আচমকা হার্ট অ্যাটাক নাকি পরিকল্পিত খুন? সেই প্রশ্নের উত্তর আজও অধরা।
কী ঘটেছিল ওই দিন? ২০১৫ সালের ১৫ই মে ছিল শুক্রবার। প্রতিদ༺িনের মতো শ্যুটিং সেরে জিমে গিয়েছিলেন ‘রাগে অনুরাগে’ খ্যাত অভিনেতা। মধ্যরাতে বাড়ি ফিরে সাঁতার কাটতে যান কাছের পুকুর। সেই সময় রনির সঙ্গে ছিলেন দুই বন্ধু। বেশ কিছুক্ষণ পর দুই বন্ধু রনির বাড়িতে খবর দেয়, তিনি পুকুর থেকে না ওঠায়। খবর পৌঁছায় সার্ভে পার্ক থানায়। থানা থেকে ডুবুরি এনে উদ্ধার করা হয় অভিনেতা নিথর দেহ। পুকুরের পাড়েই মিলেছিল রণি জামা, মোটরবাইক এবং মোবাইল।
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে জন্ম হয় রনির মেয়ের। এই বছরেই ১০ বছর পূর্ণ করবে সে। আদর করে মেয়ে෴র রাউড়ি নাম রেখেছিলেন রনি। মেয়ের অন্নপ্রাশনের কার্ড বিলিও শুরু করেছিলেন মৃত্যুর দিন। হঠাৎ করেই সব ওলোট পালোট হয়ে যায় রনির পরিবারে।
ওগো বধূ সুন্দরীতে একসঙ্গে কাজ। রনির কাছের বন্ধু রাজদীপ এদিন পুরোনো ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘এপার থেকে ভাইকে জানাই শুভ জন্মদিন’। গত বছর রণির জন্মবার্ষিকীতে রাজদীপ টিভি নাইন বাংলাকে জানিয়েছিলেন,'ওর মৃত্যুর কারণ নিয়ে এর পর শুরু হল একের পর এক রটনা। অনেকে অনেক কিছু বলেছ𒉰িল। লেখা হয়েছিল জলে ডুবে মৃত্যু। কিন্তু একজন জাতীয় স্তরের সাঁতারুর কী করে জলে ডুবে মৃত্যু হতে পারে এই কয় বছরেও মাথায় ঢুকল না আমার। মাঝেমধ্যে বন্ধুদের সঙ্গে যখন ওকে নিয়ে কথা হয় তখন ভাবি ঠিক কী হয়েছিল সেই দিন। কীভাবে একটা জলজ্যান্ত মানুষ জাস্ট নেই হয়ে গেল। জানি না ওর কেসটা আর খুলবে কিনা। কিন্তু রনির 🌟এভাবে চলে যাওয়াটা আজও আমার কাছে রহস্য।'