কথা রাখলেন অক্ষয় কুমার। লাগাতর ট্রোলের মুখে আগেই বিমল কেশরী ব্র্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন আক্কি। সেই মতোই এবার বিমল কেশরী ব্র্যান্ডের সমস্ত🍌 বিজ্ঞাপন থেকে সরিয়ে ফেলা হল অক্ষয়ে🃏র মুখ। এখন থেকে এই সংস্থার বিজ্ঞাপনে থাকবে বাকি দুই অভিনেতা শাহরুখ খান ও অজয় দেবগনের মুখ।
অক্ষয় কুমার দেশ প্রেমিক, সমাজ সচেতন, নৈতিকভাবে দায়িত্বশীল, ফিটনেস সচেতন অভিনেতা হিসাবেই পরিচিত। সেই অক্ষয়কে যখন বিমল কেশরী ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল, তখন তা নিয়ে শুরু হয় জোর সমালোচনা। বেজায় বিরক্ত হন অক্ষয় অনুরাগীরাও, তাঁর নৈতিক দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলতে থাকেন অনেকে। শুরু হꦜয় ট্রোলিং। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমা চেয়ে অক্ষয় X (টুইটার)এ লেখেন, ‘আমি দুঃখিত, আমি আপনাদের কাছে, আমার সমস্ত অনুরাগী এবং শুভাকাঙ্খীদের কাছে ক্ষমা চাইতে চাই। গত কয়েকদিন ধরে আপনাদেরর প্রতিক্রিয়া আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়ছি। যদিও আমি তা করিনি। আমি তামাককে সমর্থন করব না, বিমল ইলাইচির সঙ্গে আমার সমস্ত সংযোগ ও অনুভূতির সম্মান করি। তবে আমি সমস্ত বিনয়ের সঙ্গে পিছিয়ে আসছি।’
যদিও অক্ষয় জানিয়েছিলেন, বিমল কেশরী ব্র্যান্ডটি তাঁর সঙ্গে চুক্তি থাকাকালীন আইনি সময়সীমায় বিজ্ঞাপনের প্রচার চালাতে পারে। সেই মতোই চলতি বছরের অক্টোবরেও ক্রিকেট বিশ্বকাপ চলাকালীন তাঁকে সম্প্রচারিত বিজ্ঞাপন দেখানো হয়েছিল, তখনও তিনি স্পষ্ট করেছিলেন যে বিজ্ঞাপনটি দু'বছর আগেই শ্যুট করা হয়েছিল। ত🔯বে এই ডিসেম্বর থেকেই তাঁর অভিনীত বিজ্ঞাপনের সম্প্রচার করা বন্ধ হবে, যা এখন ঘটেছে।
অক্ষয়ের এধরনের বিজ্ঞাপন থেকে সরে আসা প্রসঙ্গে বাণিজ্য বিশ্লেষক জোগিন্দর টুটেজা বলেন, 'আমার মনে হয় দেশের শীর্ষ তারকাদের এই ধরনের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত নয়। এক্ষেত্রে অক্ষয় একটা ভাল উদাহরণ স্থাপন করেছেন। যদিও সেটি প্যান মশলাও ছিল না, সেটা ইলাইচির বিজ্ঞাপন ছিল। তবে অক্ষয় বুঝতে পেরেছিলেন যে লোকজন এই ধরনের সারোগেট বিজ্ঞাপন সম্পর্কে অবগত। তবে এই সেলিব্রিটিদের টাকা বা প্রচারের প্রয়োজন নেই, তাঁদের ইতিমধ্যেই তা রয়েছে, তাই অক্ষয় সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন। অক্ষয় যেমন কথা, তেমন কাজ। (এর আগে অক্ষয় নিজের কানাডিয়ান নাগরিকত্ব ছেড়ে দিয়েছেন এবং ওঁর এখন ভারতীয় পাসপোর্ট রয়েছে। এবার তিমি বিম💎লের বিজ্ঞাপন থেকেও সরলেন।
বিজ্ঞাপন গুরু প্রহ্লাদ কক্করও অক্ষয়ের🦋 পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।