সঙ্গীতশিল্পী এ আর রহমানের বিচ্ছেদের খবরটি যেন এখনও সেভাবে হজম করতে পারছেন না অনুরাগীরা। দুদিন আগে যখন রহমানের সদ্য বিচ্ছিন্না স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী বন্দনা শাহ ডিভোর্সের কথা সামনে আনেন তখন অনেকেই আকাশ থেকে পড়েছিলেন। তারপর থেকে নানান জল্পনা সামনে এসেছে। তবে এই বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ কী তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুধুই জানা গিয়েছে মানসিক টানাপোড়েনের কথা।🍷
এদিকে এরই মাঝে রহমানের টিমের সদস্য বাঙালি গিটারিস্ট মোহিনী দে-ও ডিভোর্সের ঘোষণা করেচেন। আর তাই দুইয়ে দুইয়ে ৪ করে নিয়ে তাঁর সঙ্গে রহমানের প্রেমের জল্পনা তৈরি হয়। যদিও এমন দাবি যে সম্পূর্ণ ভুল তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রহমান ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি। তাহলে বিচ্ছের প্রকৃত কারণ কী? এই জল্পনা-চর্চার মাঝে সামনে এসেছে বিয়ে নিয়ে এ আর রহমানের দেওয়া পুরনো🧸 এক সাক্ষাৎকার। যেখানে সায়রাকে নিয়ে নানান কথা বলেছিলেন রহমান।
নাসরিন মুন্নি কবীরের বই এ.আর. রহমান: দ্য স্পিরিট অফ মিউজিক-এ অস্কার বিজয়ী সঙ্গীত রচয়িতা সায়রার সঙ্গে তাঁর সম🎐্পর্কের বিষয়ে অকপটে কথা বলেছেন। রহমান সেখানে বলেছেন, তাঁর তখন অল্প বয়স, তবে তিনি অন্য কোনও মহিলার দিকে কখনওই তাকাতেন না। রহমানের কথায়, 1994 সালে, যখন আমার বয়স প্রায় সাতাশ, আমি সিদ্ধান্ত নিই যে এখনই বিয়ে করার সময় হয়েছে। কারণ কিছু কারণে, আমার নিজেকে বড্ড বুড়ো মনে হত। আর আমি সবসময় খুবই লাজুক ছিলাম, আর মেয়েদের সঙ্গে বেশি কথা বলিনি। অনেক তরুণী গায়কের সঙ্গেই আমার আলাপ হয়েছে। স্টুডিওতে যখন আমরা একসঙ্গে কাজ করতাম তখনও আমি কোন মেয়ের দিকে তাকাতাম না এই ভেবে যে আমার সময় নেই। আমি ঘড়ি ধরে কাজ করতাম।'
সেখানেই সায়রার সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়ে রহমান বলে🏅ন, 'তিনি সুন্দর এবং ভীষণই ভদ্র ছিলেন। আমাদের প্রথমবার দেখা হয়েছিল ৬ জানুয়ারী ১৯৯৫, সেটা ছিল আমার ২৮তম জন্মদিন। খুবই স্বল্প সময়ের জন্য সৈই সাক্ষাৎ হয়েছিল। তবে আমরা বেশিরভাগ সময়ই ফোনে কথা বলতাম। সায়রা কচ্চি এবং ইংরেজিতে কথা বলত। তবে আমি ওকে বলি, যদি সে আমাকে বিয়ে করতেই চায় তাহলে যেন ও ইংরাজিতেই কথা বলে। সায়রা অবশ্য তখন খুব শান্ত ছিল। এরপর থেকে সায়রা বানু অবশ্য গুজরাটের কচ♉্চি ভাষা ছেড়ে এ আর রহমানের সঙ্গে ইংরাজিতেই কথা বলতেন।
পরে অবস্য সিমি গারেওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্ত্রী সায়রা বানুর চরিত্রের আরও একটা দিক তুলে ধরেছিলেন রহমান। শিল্পী বলেছেন, ‘সায়রার চরিত্রের দুটি দিক আছে, যখন সে শান্ত খুবই শান্ত, আবার যখন সে রেগে যায় প্রচণ্ড রেগে যায়। হয়ত ও শপিং-এ বের হতে চাইছে, তবে পারছে না, তখন ও খুব রেগে যেত।’ এরপর সিমি সঙ্গীতশিল্পীকে প্রশ্ন করেছিলেন সায়রা কি তবে মানিয়ে নেয় নি? উত্তরে রহমান বলেছিলেন, ‘আমি সম্পর্কের শুরুতেই ওকে বলে দিয়ছিলাম, ও বিয়ের পর কেমন জীবন কাটাতে পারবে। ও শর্তে রাজি ছিল।’ রহমান জানিয়েছিলেন, তাঁদের যৌথ পরিবার ছিল, তাই কোনও নতুন সদস্যের সেখানে এসে শুরুতে๊ মানিয়ে নিতে একটু অসুবিধা হবে, সেটাই স্বাভাবিক। তবে সন্তান আসার পর তাঁদের মধ্যে সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল বলেই জানিয়꧑েছিলেন রহমান।
১৯৯৫ সালের ১২ মার্চ বিয়ে হয় এ আর রহমান এবং সায়রা বানুর বয়সে সায়রা ছিলেন রহমানের থেকে ৭ বছরের ছ𒈔োট। চেন্নাইত♉ে হয়েছিল সেই বিয়ের অনুষ্ঠান। এরপর দীর্ঘ ২৯ বছর পার হয়েছে, অবশেষে আলাদা হয়ে গেল রহমান ও সায়রার পথ…।