টলিপাড়াতেও এবার দুর্নীতির অভিযোগ। টলিউডের আপৎকালীন মিটিংয়ে নাকি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কোভিডে নাক🌟ি ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। সিনেমাপাড়া ও ফেডারেশনকে নি💮য়ে এমনই অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলেন বামেদের শতরূপ ঘোষ। নিজের কথার সাপেক্ষে ইনস্ক্রিপ্ট ডট মি-র একটি নিউজ লিঙ্ক তুলে ধরেছেন শতরূপ।
নিজের পোস্টে শতরূপ লিখেছেন, ‘আরেক কিস্তি। হিসেব খাতা ধরে ধরে লেখা হয়েছে। আপৎকালীন মিটিংয়ে নাকি ৩০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। কোভিডে নাকি ১𒅌 কোটি ২৫ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে ৩২ লক্ষ টাকার মাস্ক স্যানেটাইজার কেনা হয়েছে!’
আরও পড়ুন-এবার জুন-নুসরত-শ্রাবন্তীদের সঙ্গে জু♚টিতে স্বস্তিকা, টꦍলিপাড়ায় নতুন চমক!
তথ্য অনুসারে টলিউডে গিল্ডের সদস্য হতে গেলে নিয়মের বাইরে গিয়ে চাঁদা দিতে হয়। সেই চাঁদা নাকি অবৈধ। ইনস্ক্রিপ্ট ডট🌸 মি-র তথ্য অনুসারে চাঁদার বড় অংশ যায় ফেডারেশনের﷽ হাতে। এই চাঁদার নাকি কোনও অডিটই হয় না বলে অভিযোগ থাকলেও সেটা সত্যি নয়, অডিট অবশ্য হয়। তবে সেটা কীভাবে হয়, সেটাই এখন প্রশ্ন?
টালিগঞ্জের বর্ষ❀ীয়ান পরিচালক গৌতম বন্দ্যোপাধ্য়ায় পুরো বিষয়টি জানতে RTI (রাইট টু ইনফরমেশন) করেছিলেন। আর তাতেই ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত একটা অডিট রিপোর্ট উঠে এসেছে। আর সেখানেই নাকি বড় অসঙ্গতি। যেটি তুলে ধরেছে ইনস্ক্রিপ্ট ডট মি-র একটি প্রতিবেদন। সেটি অনুসারে গৌতম বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, স্বরূপ বিশ্বাসের কথা মত ফেজারেশনের সদস্য না💞কি ৮-১০ হাজার জন। অথচ সরকারি হিসেব বলছে সদস্য সংখ্যা মাত্র ২৪ জন। তাঁর দাবি গিল্ডের সদস্য হতে হলে ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা দিতে হয়। যার পুরোটাই যায় ফেডারেশনের ঘরে, যার কোনও হিসাবেই নাকি নেই।
২০১৯ সালের অডিট রিপোর্ট বলছে, অ💦্যাফিলিয়েশন ফিজ হিসাবে আয় হয়েছে ৮২হাজার ২৫৫ টাকা। যদি ধরে নেওয়া যায় ২৬টি ইউনিয়ন অ্যাফিলিয়েশনের জন্য এই চাঁদা বাৎসরিক ফেডারেশনকে দিয়েছে, তাহলেও প্রশ্ন ওঠে, কারণ আইনতন এর সদস্য সংখ্য়া মাত্র ২৪। তাহলে এই টাকা কোথা থেকে এল। এটা কি নতুন সদস্যদের জয়েনিং ফি? জানা যাচ্ছে, গিল্ড নতুন সদস্যদের চাঁদার বদলে কার্ড দেয়। আর সেই চাঁদার টাকা যায় ফেডারেশনের কাছে।
এদিকে অডিট রিপোর্ট বলছে, FCTWEI অর্থা ফেডারেশন লেভি (চাঁদা) বাবদ আয় 𓆉করেছে ৩,৮৬, ৩৫০ টাকা। তবে এই টাকা ২৪ জন সদস্য ছাড়া বাকিরা কীভাবে দিতে পারে তার কোনও প্রমাণ বা স্বীকৃতি নেই। আবার খরচের হিসেবে দেখানো হয়েছে ৩ ক্ষ ২৪ হাজার টাকা নাকি খরচ হয়েছে। আর সেটা নাকি উকিলের খরচ। এখন প্রশ্ন কীসের জন্য এত উকিল লাগছে?
গড়মিল আরও আছে, ইনস্ক্রিপ্ট ডট মি-র তথ্য বলছে ২০২০ সালে অডিট রিপোর্টে আ🐲য় দেখানো হয়েছে ৩ লক্ষ টাকারও বেশি। সেখানেও সেই টাকা কে দিচ্ছে তা স্পষ্ট নয়। আবার লেখা হয়েছে কোভিডের সময় অনুদান বাবদ ফেডারেশন আয় করেছে ১ কোি ২৫ লক্ষ ৮৪হাজার ৮৫৭ টাকা। দাবি করা হয়েছে ফেডারেশনের ওয়েলফেয়ারের জন্য কোনও সহৃদয় ব্যক্তি নাকি এই টাকা দিয়েছেন। কিন্তু কে বা কারা? ফেডারেশনের আয় এভাবে কীভাবে বাড়ছে? বহু প্রশ্নের কোনও হিসেবই নাকি নেই। অভিযোগ বহিষ্কারের জুজু দেখিয়েꦺ মুখ বন্ধ রাখা হয়েছে বহু টেকনিশিয়ানের। অভিযোগ শাসকের কাছেই নাকি যাচ্ছে এই দুর্নীতির বকেয়া।