হিন্দি বিনোদন জগতের পর💙িচিত ♕মুখ অর্চনা পূরণ সিং। বর্তমানে সোনি টিভির ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এর অংশ তিনি। দীর্ঘসময় বলিউড ছবিতে কাজ করেছেন অর্চনা, এখন যদিও অভিনয় থেকে দূরেই রয়েছেন কপিলের শো-এর বিচারক। নিজের ঠোঁটকাটা স্বভাবের জন্যই পরিচিত অর্চনা। ট্রোলিং হজম করতে মোটেই স্বচ্ছন্দ নন তিনি, কটাক্ষের কড়া জবাব দিতে সিদ্ধহস্ত। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামী পারমিত শেট্টির সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন ৬০ বছর বয়সী অর্চনা পূরণ সিং।
সুইৎজারল্যান্ড ট্রিপের একটি পুরোনো ছবি পোস্ট করে ‘জীবন কত সুন্দর’ সেই বার্তা দেন অর্চনা। জুটিকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন গুণমুগ্ধরা। তবে এক মহিলা সেই পোস্টের কমেন্ট বক্সে লেখেন- ‘নারী কম, পুরুষ বেশি মনে হয় আপনাকে দেখে। কপিল ঠিকই বলে, রূপ পালটাতে অনেক সময় লাগে আপনার’। এই মন্তব্য দেখে চুপ থাকেননি ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়'-এর মিস ব্রিগে🀅নজা। তিনি পালটা লেখেন- ‘কী নোংরা মানসিকতা তোমার, তাও এত ছোট বয়সে, একটু পড়াশোনা করলে জানতে পারতে বড়দের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয়। দয়া কর🌳ে সব বয়সী এবং সব রকম চেহারা ও রূপের মেয়েদের সম্মান করতে শিখুন। যদি মেয়ে হয়ে অন্য মেয়েদেরই না সম্মান করতে পারো, তাহলে ছেলেদের থেকে সম্মান কী করে আশা কর?’
অর্চনার এমন সপাট উত্তরের বাহবা জানিয়েছেন অনেকেই। তবে কেউ কেউ আবার অভিনেত্রীর ‘দ্বিচারিতা’ নিয়ে পালটা প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ কপিলে শো-তে দীর্ঘসময় ধরে কপিল নিজে অর্চনাকে ‘পুরুষ’ বলে বহুবার ঠাট্টা করেছেন। পিছিয়ে থাকেননি শো-এর অতিথি শিল্পীরাও। তাহলে নেটিজেনরা বললে কেন এত গায়ে মাখছেন অভিনেত্রী? এক সাক্ষাৎকারে এর জবা♔ব দিয়েছেন অর্চনা। তাঁর কথায়, ‘কমেডির ক্ষেত্রে তো অশ্রদ্ধা করা যেতেই পারে, কৌতুকের জন্য কিছু কিছু জিনিস মেনে নিতে হয়। কিন্তু তার মানে কাউকে আঘাত ক𓆉রা নয়। দ্য কপিল শর্মা শো তো কমেডির প্ল্য়াটফর্ম, সেখানে তো সিরিয়ালি নেওয়ার মতো কিছু নেই’।
ব্যঙ্গ আর কৌতুক বিনোদনের অংশ বলেই মনেꩵ করেন অর্চনা। কপি𝄹ল সমস্তটাই হালকা ছলে তুলে ধরেন, দাবি অর্চনার। অভিনেত্রী জানান, ‘কপিল যখন সেটা (পুরুষ) বলে তখন তার মধ্যে হিউমার থাকে, ভালোবাসা থাকে এবং দুষ্টুমি থাকে। ও ক্ষমাও চেয়ে নেয় যখন আমি পালটা বলি, এবার মারব। কমেডি শো-এর মধ্যে তো আর সমাজিক বার্তা দেবে না কপিল’।
ট্রোলারদের এড়িয়ে চলতেই প♕ছন্দ করেন অর্চনা, তবে কখনও কখনও জবাব দেওয়াটা জরুরি হয়ে পড়ে দাবি তাঁর। অভিনেত্রী জানান, ‘আমার ট্রোলারা মূলত কর্মহীন, পৃথিবীর বুকে থাকা আগাছা। আসলে সেলেবদের নজর কাড়তে এমন ভুলভাল কথা বলে তারা, তাই আমি পালটা জবাব দিতে চাই না। ওই উত্তর দিয়ে আমি তো মুভ অন করে গিয়েছি, তবে নিঃসন্দেহে মেয়েটি দু-মিনিটের ফেম পেতে সফল হয়েছে’।