ছোটবেলায় শীতের দুপুর মানেই লেপমুড়ি দিয়ে ভূতের গপ্পের বইয়ের পাতায় নজর।🔜 কিংবা সানডে সাসপেন্স। বা অলৌকিকের মতো ছবি। আ💞র যদি লোডশেডিং হয়, তাহলে সেই অন্ধকার আরও জমাতে তেনাদের গল্পের জুড়ি নেই। কিন্তু আজকাল কি হ্যালোইনের দাপটে কিছুটা ব্যাকফুটে বাংলার ভূতেরা? অন্ধকার বাংলার ভূতেদের ভবিষ্যৎ? ভূত চতুর্দশীর দিন অন্তত তেনাদের একটু স্মরণ করা উচিত।
আরও পড়ুন: 'অ্যাকশন বললেই একটা...' পর্দায় ম🐼া কালী থেকে দুর্গা সবই হয়েছেন, কখনও কিছু অতিপ্রাকৃত অনুভব করেছেন পায়েল?
বাংলার ভ꧃ূতেদের নিয়ে সেই অর্থে কখনই গবেষণামূলক কাজ হয়নি যেমনটা পশ্চিমী ভূত বা অতিপ্রাকৃত জগৎ নিয়ে কাজ হয়েছে। তবুও সুকুমার রায়ের গল্পের ভূত বইটিতে কিছুটা বিশ্লেষণ বা ঋকসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্য বুক অব ইন্ডিয়া ঘোস্টসে কিছুটা তুলে ধরার চেষ্টা হলেও তেমন ভাবে কাꦚজ হয়নি।
তবে সম্প্রতি সমাজবিদ তিথি ভট্টাচার্য ডিউক ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে তাঁর গবেষণামূলক বই ঘোস্টলি পাস্ট, ক্যাপিটালিস্ট প্রেজেন্স: আ সোশ্যাল হিস্ট্রি অব হওয়ার ইন কলোনিয়াল বেঙ্গল বইতে বাংলার ভয়ের আর্থসামাজিক উৎসগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে। আর সেখানেই তিনি তুলে ধরেছেন পশ্চিমী জগতে শিক্ষার আলোয় সেখানকার ভূতেদের যত রমরমা বেড়েছে সেখানে বাংলার মামদো, ব্রহ্মদৈত্যি, পেত্নিরা যেন অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। ভূতের ভয়ের বদলে জায়গা করে নিচ্ছে অন্য ধরনের ভয়,⛄ চর্চা। যেমন প্ল্যানচেট, অন্ধকারের ভয় ইত্যাদি। বাদ যায় না অজানা জগতের ভয়ও।
তিথি ভট্টাচার্য তাঁর বইতে বাংলার ভূতেদের মূলত দুই ভাগে ভাগ করেছেন। প্রথম ভাগে রয়েছে ব্রহ্মদৈত্য, শাকচুন্নি, বা অন্যান্য যে ভূতেদের কথা আজন্ম শুনে আসছে বাঙালিরা। আর দ্বিতীয় ভাগ রয়েছে পশ্চিমী জগৎ থেকে আসা অন্যান্য ভূত যাঁদের মূলত প্ল্যানচেট ইত্যাদির মাধ্যমে ডাকতে হয়। আর এই দ্বিতীয় ভাগের ভূতেদের কিন্তু একাধিক বাংলা সাহিত্যে দেখা পাওয়া গিয়েছে। যদিও ওপার বাংলার বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ভূতের গল্পে বাংলার লোকের মুখে মুখে ঘোরা, অতি চেনা ভূতেদের বেশি প𓄧্রাধান্য দেওয়া হয় আজও।
আরও পড়ুন: ꦆটেক্কা 'বিগেস্ট অরগ্♋যানিক হিট' দাবি নিয়ে হেঁয়ালি ভরা উত্তর দেবের, কটাক্ষ বহুরূপীকে?
ফলে গোটা বিষয়টা থেকে একটা ব্যাপার খু🥃বই স্পষ্ট, ভয়টা বেসিক জায়গায় ঠিকই আছে। কিন্তু গল্প হোক বা মানুষের মনে বাঙালির অতি চেনা ভূতেদের ধীরে ধীরে সরিয়ে জায়গা করে নিচ্ছে পশ্চিমী⭕ ভূত এবং ভয়ের জগৎ। আর এখান থেকেই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে তবে কি সিনেমার মতো, বাস্তবেও অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে বাংলার ভূতেদের ভবিষ্যৎ?