কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় কিছুটা স্বস্তিতে সলমন খান। বৃহস্পতিবার যোদপুর জেলা ও নগর দায়রা আদলত, সলমনের বিরুদ্ধে দাখিল রাজস্থান সরকারের দুটি মামলা খারিজ করে দিল। এই মামলায় একটি ভুল তথ্য দিয়েছিলেন সলমন খান। এর জেরে মঙ্গলবার আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অভিনেতা। অস্ত্রের লাইলেন্স সংক্রান্ত মিথ্যা হলফনামা জমা দেওয়ার মামলায় এদি্ন আদালত স্বস্তি দিল সলমন খানকে। চিফ জুডিসিয়্যাল ম্যাজিস্ট্রেট রাজ্য সরকারের আনা দুই আবেদনই সিআরপিসির ৩৪০ ধারার আওতায় খারিজ করে দেন। মঙ্গলবারই এই মামলায় সওয়াল-জবাব সম্পন্ন হয়েছিল, তবে রায় সংরক্ষিত রেখেছিল আদালত। আজ সলমনের পক্ষেই রায় দিলেন বিচারক রাঘবেন্দ্র কাচাওয়াল। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় ২০০৩ সালে যোধপুরের এক আদালতে সলমন একটি হলফনামা জমা দিয়েছিলেন। সম্প্রতি তাতে ভুল তথ্য ধরা পড়েছে। মঙ্গলবার ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মামলার শুনানিতে এই অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য ক্ষমা চান সলমন খান। অভিনেতার আইনজীবী হস্তিমাল সারস্বত আদালতকে জানিয়েছেন, ওই হলফনামাটি ভুল করে জমা হয়েছিল।উল্লেখ্য, ওই হলফনামায় সলমন খান জানিয়েছিলেন তাঁর লাইসেন্স হারিয়ে গিয়েছে, এই নিয়ে বান্দ্রা পুলিশের কাছে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু আসলে সেটি মুম্বই পুলিশ কমিশনারেটে জমা দেওয়া হয়েছিল পুনর্নবীকরণের জন্য। সলমনের আইনজীবী জানান, ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে ভুল তথ্য পেশের জন্য নয়, বরং অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা হওয়ার দরুণ আসল সত্যিটা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না সলমন নিজেই। অস্ত্র আইনের আওতায় সলমনের বিরুদ্ধে লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অস্ত্র দিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ রয়েছে। ট্রায়াল কোর্টে অস্ত্র আইন সংক্রান্ত মামলায় আগেই অব্যহতি পেয়েছে সলমন খান। জেলা আদালতেও ভুয়ো হলফনামা সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের দায়ের দুটি মামলা খারিজ করে দিল। এবার কৃষ্ণসার হরিন শিকার মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড পাওয়ার মামলায় জামিনে মুক্ত সলমনের আবেদন এবং অস্ত্র আইনের মামলায় সলমনের অব্যহতি পাওয়ার বিরুদ্ধে রাজস্থান সরকারের আবেদন ঝুলে রয়েছে জেলা আদালতে। ১৯৯৮ সালে হাম সাথ সাথ হ্যায় শ্যুটিং চলাকালীন সলমনের উপর কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের অভিযোগ রয়েছে। যোধপুরের নিকটবর্তী কঙ্গনি গ্রামে দুটি কালো হরিণ শিকারের অভিযোগ করেছে ভাইজানের উপর। ১৯৯৮ সালে ১-২ অক্টোবরের মধ্যে এই ঘটনা বলে অভিযোগ।