꧑ শেষ পর্যন্ত এটা শুধুমাত্র একটা বিয়ে নয়। এটা ভারতের সাংস্কৃতিক জগতের প্রতিনিধিদের যেমন মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠল, তেমনই একসঙ্গে ভারতের রাজনীতিকদেরও উপস্থিতি এই বিয়েকে দিল অন্য ধরনের মাত্রা। আর সেই রাজনীতিকদের মধ্যে যাঁকে নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আম্বানি পরিবারের বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি হাজির হলেন শুক্রবার রাতে। আর সমস্ত ক্যামেরা তাক করা হল তাঁর দিকে।
ꦆআম্বানিরা এই মুহূর্তে ভারতের তো বটেই, গোটা পৃথিবীরই সবচেয়ে আলোচিত পরিবারের একটি। অর্থনৈতিক দিক থেকে তো বটেই, তাঁদের প্রভাব সংস্কৃতির জগত এবং রাজনৈতিক জগতেও রয়েছে। সারা পৃথিবীর তাবড় ব্যক্তিত্বরা নানা সময়ে এই বিয়ের নানা পর্বে হাজির হয়েছেন। সৌজন্য বজায় রেখে আম্বানি পরিবারের তরফে দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের শীর্ষনেতৃত্বকে নিমন্ত্রণও করা হয়েছে এই বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেই তালিকায় দেশের সরকারে থাকা বিজেপির তাবড় নেতামন্ত্রীরা যেমন আছেন, তেমনই আছেন কংগ্রেসের নেতামন্ত্রীরা, এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মমতা এই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাবেন কি না, তা নিয়ে নানা মহলে সংশয় ছিল। শেষ পর্যন্ত সেই সংশয় কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানান, তিনি যাচ্ছেন। কারণ আম্বানি পরিবারের তরফে তাঁকে এত বার করে অনুরোধ করা হয়েছে যে, সেই অনুরোধ তিনি ফেলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: 🦂ঐশ্বর্যকে ছাড়াই সপরিবারের আম্বানিদের বিয়েতে বচ্চনরা! মেয়েকে নিয়ে একা এলেন 'বউমা'
ཧশুক্রবার বিয়ের অনুষ্ঠান। কিন্তু তার আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই মুম্বই চলে যান তিনি। যাওয়ার আগে নিমন্ত্রণ রক্ষা করার বিষয়টিও জানান। এর পরে মুম্বইয়ে পৌঁছে তিনি আম্বানি পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। হোটেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন মুকেশ আম্বানি। এর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন বেশ কিছু রাজনৈতিক বৈঠক নিয়ে। কিন্তু শুক্রবারে তিনি তাঁর নিমন্ত্রণ রক্ষার দায়িত্বের কথাটি ভোলেননি। একটু বেশি রাত করে তিনি হাজির হন বিয়েবাড়িতে।
আরও পড়ুন: 𓆏লাল পোশাকে ঝরে পড়ছে মাতৃত্বকালীন লাবণ্য! অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে হবু মা দীপিকা
🐓তবে এই নিমন্ত্রণ রক্ষার পরেই একটি মজার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিয়েতে না গেলেও আম্বানি পরিবারের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছেন। ভাইপোর বিয়েতে গিয়েছিলেন, কিন্তু যে দিন বিয়ের মূল অনুষ্ঠান ছিল, সেই দিন অনুষ্ঠান বাড়িতে হাজির হননি তিনি। এক্ষেত্রে কিন্তু সৌজন্য মেনে অনন্ত এবং রাধিকার বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছে গিয়েছেন তিনি। অনেকে তাঁর এই রাজনৈতিক সৌজন্যের প্রশংসাও করেছেন।