রুপালি পর্দার চির-রহস্যময়ী। অভিনয়শৈলী ও প্রতিভায় মহানায়িকা। তিনি সুচিত্রা সেন। মহানায়িকার রূপের ছটায় বিভোর আপামর বাঙালি দর্শকেরা। যতটা স꧒মকালীন, ততটাই😼 চিরকালীন। একটি আদ্যোন্ত ব্র্যান্ড। বাঙালি নারীর স্টাইল-আইকন তিনি। তাঁকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতা যে কারও কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থেকেছে। তেমনই এক অভিজ্ঞতার কথা দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসে ভাগ করে নিলেন ডাঃ জাহেদি বানো।
দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে
একটা সময় অন্তরালে চলে যান সুচিত্রা সেন। বাড়িতেই থাকতেন বেশির ভাগ সময়। দিদি নম্বর ওয়ানে প্রতিযোগী জাহেদি জানান, তখন বেলভিউ নার্সিং হোমে তাঁর চাকরির বয়স সবে মাত্র ৫ ব♑ছর। চিকিৎসক সুব্রত মৈত্র একদিন ডেকে বলেন, ‘জাহেদি তোমাকে ওঁর (সুচিত্রা সেন) বাড়ি যেতে হবে’। তাঁর কথা অনুযায়ী, এত বড় একজন মহানায়িকা আর তিনি সবে সবে এসেছেন। সেই শুনে মনে মনে একটু ইতস্তত হয়ে গিয়েছিলেন বলে জানেন। এরপরই চিকিৎসকের নাকি নির্দেশ ছিল, ‘ওসব বললে হবে না। তোমাকে বলেছি মানে তুমিই যাবে’।
আরও পড়ুন: নামী সাংবা𝓡দিকের মেয়ে, কেরিয়ারের মধ্যগগণে বিয়ের পিঁড়িতে, জন্মদিনেಌ চিনে নিন অজানা জয়া বচ্চনকে
সুচিত্রা সেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ
এরপরই ‘ম্য়াডাম’ সুচিত্রা সেনের বাড়িতে গিয়ে হাজির হন তিনি। জানান, ‘গেলেম ওঁর বাড়ি। কলিং বেলটা দিলাম। দরজা খুলে একজন ম♏হিলা এলেন। বললেন, আপনি বেলভিউ থেকে এসেছেন? ডক্টর? এরপরই ভিতরে আসতে বলল। এরপর লম্বা হলঘরে বসালেন। বসে থাকার কিছুক্ষণ পরে ওই মহিলা আবার ফিরে এলেন। এরপরই ভিতরে যেতে বললেন। তারপর দেখলাম, একটা ঘরের মধ্যে দিয়ে একটা ঘর, তারপর একটা ঘর, গেলাম। আলো আঁধারির একটা পরিবেশ। কেউ ছিল না সেখানে। আমাকে উনি (সুচিত্রা সেন) বসালেন ড্রেসিং টেবিলের সামনে’।
আরও পড়ুন: আধখোলা শার্টের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ব🌳ক্ষবিভাজিকা, শ্রাবন্তীর আগুন ধরানো ছবিতে বোল্ড আউট ভক্তরা
স্মরণীয় অভিজ্ঞতা
‘বসার পর উনি উঠে এলেন। মিসেস সুচিত্রা সেন, আমাদের মহানায়িকা। এসে হাতজোড় করে বললেন, নমস্কার। আমি উঠেꦗ দাঁড়ালাম- নমস্কার করলাম। তারপর ড্রেসিং টেবিলের পাশে যেখানে আমি বসেছি উনি এসে বসলেন। বসার পর উনি কিছুক্ষণ আমার মুখের দিকে একভাবে তাকিয়ে রইলেন। আমি ওঁকে দেখছি। অনেকক্ষণ যখন তাকিয়ে, আমি আস্তে করে মাথাটা নীচু করে নিলাম। তারপর বললেন- তুমি তাহলে আমাকে দেখবে। সুব্রত পাঠিয়েছে! আমি হ্যাঁ বলতেই, উনি প্রশ্ন করলেন- তা আমাকে কী করতে হবে?'
আরও পড়ুন: স্কুলের ম🌌াঠে তারকা প্রচারক দেবের হেলিপ্যাড, হাফ ছুটি ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর🅷্ক, উচ্ছ্বসিত পড়ুয়ারা
‘আমি তখন বললাম, আপনাকে একটু উঠে দাঁড়াতে হবে। ছোটবেলা থেকে ওঁর সিনেমা দেখে আসছি, যখনই কোনও রোল করেন- ওঁকে হালকা একটু হেলে দাঁড়াতে দেখা যায়। আমি চিরকাল জানতাম হয় তো পরিচালক-প্রযোজক দাবি করেন, হয়তো ওঁর চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার জন্য বা একটা ভাব আনার জন্য হয়তো ওঁকে ওভাবে দাঁড়াতে বলা হয়। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম। আমি যখন দেখলাম, উনি দাঁড়ালেনও ওভাবেই। ভঙ্গিতেই কোনও একটা ভাব ছিল। আমি দেখার পর ওঁকে ট্রিটমেন্ট করে🦄 এক্সারসাইজ করিয়ে, নেমে এবার আমি চলে যাচ্ছি..’।
‘…পিছন থেকে সিকিউরিটি আমাকে ডাকতে লাগল। ম্যাডাম.. ম্যাডাম আপনাকে উপরের ম্যাডাম ডাকছে..। তারপর দেখছি উপরে গিয়ে উনি হলঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছেন (হাতজোড় করে)। ‘আপনি কিছু মনে করেননি তো? আমায় ক্ষমা করে দিন। আপনার ফিজটা আমার দেওয়া হয়নি। বিশ্বাস করুন আমি একদম ভুলে গিয়েছি আপনার ফিজটা আমায় দিতে হবে’। সঙ্গে সঙ্গে বলি, আপনি প্লিজ এভাবে বলবেন না, আর বার বার এভাবে হাতও জোড় করবেন না- আমার খুব খারাপ লাগছে। আপনি এত বড়..'। এরপরই নিজের কাজ সেরে মহানায়িকার বাড়ি থেকে তিনি চলে আসেন বলে জানান জাহেদি। এই ঘট🦹নাকে নিজের জীবনের চিরস্মরণীয় অভিজ্ঞতা বলেই জানান তিনি।