এষা-করিনারা মতো সমসাময়িক অভিনেত্রীরা তাঁর থেকে কাজ ‘কেড়ে নিয়েছেন’। সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডে-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছেন আমিশা প্যাটেল।🃏 আমিশার এই মন্তব্য নিয়েই এবার বেজায় বিরক্ত এষা দেওল।
'কাজ কেড়ে নেওয়া'র অভিযোগে কী বক্তব্য এষার?
এষা দেওলকে আমিশা প্যাটেলের মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিস্মত এষা বলেন, ‘উনি এমন বলেছেন নাকি? তবে এক্ষেত্রে আমার ভাবনা একেবারেই আলাꦑদা। আমি মনে করি আমরা সবাই, যে যা কাজ পেয়েছি তা নিয়ে ভীষণ🎃ই ব্যস্ত ছিলাম। সেসময় সব অভিনেত্রীদের সঙ্গেই আমার চমৎকার বন্ধুত্ব ছিল। আমার মনে হয় না যে কেউ কারও কাজ ছিনিয়ে নিয়েছে বলে!’
এষা আরও বলেন, ‘সবাই সেসময় নিজ নিজ ক্ষেত্রে কাজ করে খুব ব্যস্ত ও আনন্দে ছিলাম। সকলেই খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল, মেয়েরা, এমনকি ছেলেরাও। সকলের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, তখন সেই সম্পর্কগুলির মধ্যে একটা আলাদা উষ্ণতা ছিল। সেটা সত্👍যিই দারুণ বিষয় ছিল …। আমরা সবাই অনেক কাজই করছি। এমন নয় যে আমরা ক🌼েউ কাজ ছাড়া বসে ছিলাম।’
প্রসঙ্গত ২০০২ সালে 'কোয়ি মেরে দিল সে পুছে' ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন এষা দেওল। সেসময় এষার সম🐲সাময়িক অভিনেত্র✨ী ছিলেন করিনা কাপুর, আমিশা প্যাটেল এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ারা
ঠিক কী বলেছিলেন আমিশা প্যাটেল?
এর আগে এক সাক্ষাৎকারে আমিশা প্য়াটেল বলেন, ‘আমি যখন ফিল্ম ইন্ড🥀াস্ট্রিতে পা রাখি, তখন আমার সঙ্গে ইন্ডাস্টিতে পা রেখেছিল সেসময়ের স্টারকিডরা। যেমন করিনা কাপুর, অভিষেক বচ্চন, হৃতিক রোশন, তুষার কাপুর, এষা দেওল, ফারদিন খানরা। আর তাঁরা প্রত্যেকেই ফিল্মি পরিবারের তৃতীয় জেনারেশন ছিলেন।
আমিশার কথায়, 'সেসময় আমি 🎃ইন্ডাস্ট্রিতে বহিরাগত ছিলাম। আমাকে তখন দক্ষিণ ব🦩ম্বের নিয়মনীতি (বর্তমানে মুম্বই) না মানা একজন মেয়ে হিসাবেই দেখা হত। আর আমি শিক্ষিতও ছিলাম। আমি সেটে বকবক করতাম না, বই পড়তাম, গসিপ করতাম না, তাই আমাকে অসামাজিক বলা হত, কারণ আমি পড়তেই ভালোবাসতাম।
আমিশা এবং এষা
২০২৩ সালে অনিল শর্মার ‘গদর ২’ ফের একবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরেছেন আমিশা প্যাটেল।ღ এই সিনেমার মাধ্যমে তিনি সানি দেওলের সঙ্গে পুনরায় কাজ করেন। ছবিটি বক্স অফিসে সুপারহিট হয়। অন্যদিকে এষা বহুদিন হল সিনেমার দুনিয়া থেকে দূরেই রয়েছেন। গতবছর স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ‘এক দুয়া’র হাত ধরে প্রযোজনায় আত্মপ্রকাশ করেছেন। যেটি ৬৯তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কারও জিতে নেয়।