টলিপাড়ায় কান পাতলেই এখন ভাঙনের শব্দ। শুধু সদ্য বিবাহিত দম্পতিরাই নন, বহু বছর ধরে সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন এমন সব তারকা জুটির সম্পর্কও অহরহ ভেঙে যাওয়ার খবর শোনা যায়। কিন্তু তার মধ্যেও রাজা গোম্বামী ও মধুবনী গোস্বামীর সম্পর্ক এখনও শুরুর দিনের মতোই রঙিন। তাঁরা তাঁদের রোজ নামচার নানা খুঁটিনাটি ভ্লগের মাধ্যমে শেয়ার করে নেন। কিন্তু এত ভাঙনের মাঝেও তাঁদের সম্পর্ক কীভাবে এত সুন্দর? তাঁদের অটুট দাম্পত্যের রহস্য ফাঁস করলেন রাজা।
রাজা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, 'আমরা কী কখনও ভাবি যে আমাদের ভাইকে বা মাকে ডিভোর্স দেব? আমি যদি মনে করি যে, আমার এই সম্পর্কটা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনও পথ নেই। তাহলে দেখবেন ঠিক একটা না একটা উপায় বেরিয়ে যাবে। আর পৃথিবীতে কোনও মানুষই কিন্তু পারফেক্ট হন না। দোষ গুনেই মানুষ। সেখানে আমি যদি ভাবতাম আমার সবটা ভালো, আর বিপরীত দিকের মানুষটার সবটা খারাপ। তবে তো আমি ভগবান হয়ে যেতাম। আমি যদি সেই মানুষটার দোষ দেখতে থাকি তাহলে হবে না। আমাকে বুঝতে হবে সেই মানুষটা আমার জন্য কী কী করেছে। তাঁর সঙ্গে যদি আমার ভালো মুহূর্তগুলো ভাবি তাহলে সবটা ঠিক থাকবে। আর একটা সম্পর্কে তিক্ততা আসতেই পারে। কিন্তু সেই মুহূর্তেই আমি যদি একটা বড় পদক্ষেপ করলে হবে না। সেই পরিস্থিতি আসার পর কিছুটা সময় দিতে হবে। মাথা ঠান্ডা হলে সবটা আরও ভালো করে বোঝা যায়।'
তিনি আরও বলেন, 'একটা বিষয় আমার মনে হয়, 'শ্রদ্ধা'। প্রতিটা সম্পর্কে শ্রদ্ধা থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। অনেককেই দেখি তুই তুই করে সম্বোধন করেন তাঁর সঙ্গীকে। আমি এটা বলছি না যে যাঁরা তুই তুই করেন, তাঁদের মধ্যে ভালোবাসা নেই। কিন্তু আমরা এই যুগের হয়েও একটু পুরানোপন্থী। আমরা যখন সহকর্মী ছিলাম, শুধু বন্ধু ছিলাম তখন আমরাও তুই তুই করেই কথা বলতাম। কিন্তু যখন আমারা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে আসি, তখন আমরা 'তুমি' বলে সম্বোধন করা শুরু করি। কারণ জানতাম পরবর্তী কালে আমরা বাবা-মা হব। আমাদের সন্তান দেখবে বাবা-মা তুইতোকারি করছে সেটা আমাদের ঠিক ভালো লাগবে না। বাংলায় একটা কথা আছে সম্পর্কটা তুইতোকারিতে নেমে এল। তাই আমি সকলকে বলতে চাই আপনারা তুমি তুমি করেই কথা বলতে পারেন। তুমি তুমি করে বললেন দেখবেন, ঝমেলা বেশি করা যায় না। আপনি করে আরও কম করা যায়। তাই আমার মতে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাটা রাখতে হবে। তাতেই সবটা ঠিক থাকবে।'
বর্তমানে রাজাকে 'চিরসখা'তে বাবিলের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে। ১৪ ঘণ্টা মেগার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন নায়ক। অন্যদিকে, মধুবনীও তাঁর পার্লার নিয়ে ব্যস্ত। তাছাড়াও তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই ভ্লগ বানান তার একটা ঝক্কি রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে তাঁদের ছোট্ট ছেলে কেশবের দায়িত্ব। কিন্তু এত কিছুর মধ্যে রাজা-মধুবনী বেশ গুছিয়ে সংসার করছেন।