মুক্তির কয়েকদিন আগে, কঙ্গনা রানাওয়াতের ‘এমার্জেন💛্সি’ বড় সমস্যায়। শিরোমণি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি) এবং আখল তখত সিনেমাটি অবিলম্বে নিষিদ্ধꦰ করার ডাক দিয়েছে। দাবি করেছে যে, এটি শিখদের বিরুদ্ধে একটি ‘নাম খারাপ করার’ চক্রান্ত।
বুধবার, এসজিপিসি প্রধান হরজিন্দর সিং ধামী, এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে কঙ্গনার বিরুদ্ধে এফআইকরার ডাবি তুলেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে এমনকি অতীতেও বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যখন চলচ্চিত্রে সম্প্রদায়ের ভুল উপস্থাপনের কারণে শিখদের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে। ফিল্মটির উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে, তিনি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকে💛শন (সিবিএফসি) কে 'পক্ষপাতদুষ🐠্ট' বলে অভিহিত করেন এবং সেন্সর বোর্ডে শিখ সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: যৌনাঙ্গের উপর ছেড়ে দেওয়া ইঁদুꦍর! আরজি কর ইস্🍬যুতে ধর্ষকের শাস্তি চেয়ে সরব শুভশ্রী
অন্য𝓀 দিকে, অকাল 🎉তখতের প্রধান জ্ঞানী রঘবীর সিংও দাবি করেছেন যে ছবিটি ‘ইচ্ছাকৃতভাবে শিখদের চরিত্রকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসাবে তুলে ধরে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, যা একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ।’ তিনি যুক্তি দিয়েছেন, ছবিটি একটি বিশেষ সম্প্রদায়কে ‘অসম্মান’ করে এবং কঙ্গনা ‘ইচ্ছাকৃতভাবে চরিত্র হত্যা’ করেছেন। সম্প্রদায় ১৯৮৪ সালের জুনের শিখ বিরোধী বর্বরতাকে কখনই ভুলতে পারে না এবং রানাওয়াতের এই সিনেমা জর্নাইল সিং খালসা ভিন্দ্রানওয়ালের চরিত্রকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে। যাকে শ্রী অকাল তখত সাহেব 'কওমি শহীদ' (সম্প্রদায়ের শহীদ) ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: ‘রাতে পুরুষ নার্স থাকলে, মহিলা রোগীরা নিরাপদ?’,♉ মেয়েদের ‘ক💝ম’ নাইট ডিউটি নিয়ে মীর
রঘবীর সিং আরও দাবি করেছেন যে, কঙ্গনা রানাওয়াত প্রায়ই শিখদের ♊বিরুদ্ধে বিবৃতি দিলেও, সরকার তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তিনি অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার অনুরোধ করেছেন ‘এমার্জেন্সি সিনেমার মাধ্যমে শিখদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া’র কারণে।
আরও পড়ুন: 'গিটারটা বন্দুক হয়ে যেতে পারে যদি…', আর জি কর কাণ্ডের সুরে🌳লা প্রতিবাদ শ🐭িলাজিৎ-এর
কঙ্গনা ✨রানাওয়াত ২০২১ সালে এমার্জেন্সি সিনেমাটির ঘোষণা করেছিলেন, কিন্তু পরে স্পষ্ট করেছিলেন যে, এটি একটি রাজনৈতিক সিনেমা। ইন্দিরা গান্ধীর বায়োপিক নয়। এই সিনেমায় তিনি শুধু প্রধান চরিত্রে অভিনয় করননি, পরিচালনাও করছেন। কঙ্গনা ছাড়াও, এমার্জেন্সি সিনেমাতে আরও অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মিলিন্দ সোমান, মহিমা চৌধুরী এবং শ্রেয়াস তালপাড়ে। অটল বিহারী বাজপেয়ীর ভূমিকায় দেখা যাবে শ্রেয়াস তলপাড়েকে, অনুপম খেরকে দেখা যাবে জয়প্রকাশ নারায়ণের চরিত্রে। প্রয়াত অভিনেতা সতীশ কৌশিককে ভারতের প্রাক্তন উপ-প্রধানমন্ত্রী জগজীবন রামের চরিত্রে দেখা যাবে। এখাধিকবার মুক্তি পেছনোর পর, ২০২৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা।