বলিউডের গ্রিক গড হৃতিক রোশন। ৫০-এর গণ্ডি পেরালোও তাঁর হ্যান্ডসাম লুকে ফিদা ১৮-র তরুণী। সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্মালেও বলিউডে হৃতিকের সফরটা কিন্তু মোটেই সহজ ছিল না। অভিনেতা হিসাবে কেরিয়ার শুরুর অনেক আগেই বাবার সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করতেন হৃতিক। আরও পড়ু꧋ন-মাতৃবিয়োগ ঋতুপর্ণার! ১৫ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর থামল যুদ্ধ, মা-কে হারিয়ে শোকস্তব্ধ নায়িকা
৯০ দশকের ব্লকবাস্টার ছবি করণ অর্জুনে সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছিলেন আজকের সুপারস্টার। ফের বড়পর্দায় আসছে করণ অর্জুন🔥। নস্টালজিয়ায় ভেসে ইনস্টাগ্রামে ১৯৯৫ সালের ছবির সেট থেকে বেশ কয়েকট🍷ি ছবি শেয়ার করেছেন হৃতিক।
হৃতিকের পোস্ট
ছবিতে হৃতিককে করণ-অর্জুনের সাথে অর্থাৎ সলমন খান এবং শাহরুখ খানের মধ্যমণি হিসাবে পাওয়া গেছে। পোস্টের সঙ্গে হৃতিক শেয়ার করেন, ‘করণ অর্জুনের অভিজ্ঞতা। তিনি লেখেন, ’করণ আর অর্জুনের সঙ্গে আমাকে তরুণ কবিরের মতো লাগছে। সহকারী হিসেবে আমার মনে আছে, ꦬমুক্তির দিন মিনার্ভা ছিল মূল প্রেক্ষাগৃহ। আমি এবং বাবার অন্য♍ সহকারী অনুরাগ (সাদা সোয়েটশার্টে দ্বিতীয় ছবি)), মুক্তির আগে প্রিন্টটি স্ক্রিন করেছিলেন এবং আমরা সবাই অবিশ্বাস্যভাবে হতাশ হয়েছিলাম। প্রিন্টটি অন্ধকার এবং নিস্তেজ দেখাচ্ছিল। আমরা পুরো পর্দাটি ধুয়ে ফেললাম এবং ময়লা পরিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে আমরা ম্যানেজারকে বলতে শুনলাম ২৫ বছর পর স্ক্রিন পরিষ্কার করা হল'।
আরেকটি মজার তথ্য, ভাংড়া পালে গানের সময়, এক গভীর রাতে, শাহরুখ এবং সলমন সরিস্কাকဣে গাড়িতে করে দিল্লি যাওয়ার প্ল্যান করে, প্রতিশ্রুতি দেয় সকালের মধ্যে ফিরে আসবে। আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম এবং তাদের থামাতে গাড়ির বনেটে (আক্ষরিক অর্থে) ঝাঁপিয়ে পড়লাম। কল টাইম ছিল সকাল ৬টা এবং আমাকে নিশ্চিত করতে হয়েছিল যে আমার বাবার যেন দিনটি নষ্ট না করেন। তেমনটা ঘটেনি'।
হৃতিক আরও যোগ করেꩲন, ‘১৭ বছর বয়সে সলমন এবং শাহরুখের অভিনয় দেখা আম🙈ার জন্য একটি বিশাল শিক্ষা ছিল। সর্বকালের সেরা প্র্যাকটিক্যাল অ্যাক্টিং স্কুল। ফের প্রেক্ষাগৃহে চলছে করণ অর্জুন।’
করণ অর্জুন সম্পর্কে
রাকেশ রোশনের এই ব্লকবাস্টার ছবি ২২ নভেম্বর ফের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে, প্রায় ৩০ বছর পর। রোশন জানান, ছেলে হৃতিক রোশনের অভিষেক হয় 'কহো না…প্যায়ার হ্যায়'-র সঙ্গে এবং তিনি তাঁর প্রজন্মের অন্যতম সফল অভিনেতা, প্রায়শই তাঁর সমস্ত ছবিতে তাঁকে সহায়তা করতেন। পরিচালকের ছেলে হলেও সেটে স্পেশ্যাল ট্রিটমেন্ট পেতেন না হৃতিক। তাঁর কপালে জুটত না আলিশান যাতায়াত কিংবা হোটেল। বাকি সহকারীদের সঙ্গে♏ই তাঁকে থাকতে হত।