কেরিয়ারে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছেন ইন্দ্রাণী হালদার। সিনেমা থেকে ছোট পর্দা, সবেতেই তিনি চূড়ান্ত সফল। তবে একবার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের টক শো ‘অপুর সংসার’-এ এসে তিনি মা না হতে পারার যন্ত্রণা নিয়ে কথা বলেছিলেন। ‘শ্রীময়ী’ অভিনেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তাঁর জীবনের একটাই আফশোস, তিনি স্বামীকে সন্তানসুখ দিতে পারেননি।
শাশ্বত যখন ইন্দ্রাণীকে ‘বউ হিসেবে’ নিজেকে নম্বর দিতে বলেন, তখন ইন্দ্রাণী নিজেকে দেন ‘শূন্য’। এর কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘আমি বাজে বউ একদম। বরকে রান্না করে ভাত বেড়ে দেই না। বর কলকাতার বাইরে থাকে, এখানে এলে আমি বলতে থাকি, এই আমি ভাত রেখে গেলাম, খেয়ে নিও। আমার দেরি হচ্ছে, আমি গেলাম গেলাম… আসলে আমি যৌথ পরিবারের মেয়ে, ওই ইচ্ছেটা তো আছে। কিন্তু শ্যুটিংয়ের চাপে করে উঠতে পারি না।’
শুধু কি এটাই কারণ? জবাবে ইন্দ্রাণী মনে জমে থাকা কষ্ট তুলে ধরেন তাঁর ‘অপুদা’র কাছে। বলেন, ‘আরেকটা জিনিস যেটা আমি করতে পারিনি। যেটা বলতে আমার কোনো আপত্তি নেই। এখনও ভাবলে আফশোস হয়। কেরিয়ার, কাজ, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে, সন্তানের জন্ম দেওয়া হয়নি আমার। সেটা আমাদের দুজনের মধ্যেই (অভিনেত্রীর স্বামী) একটা আফশোস।’
আরও পড়ুন: ভারত-পাক উত্তেজনার মাঝে বক্স অফিসে হুংকার রেইড ২-র, শনিবারও বিপুল আয়! ১০ দিনে কত কোটি তুলল ঘরে?
‘ভাস্কর মাঝেমাঝেই বলে, শুধু সংসারের জন্য দায়িত্বই পালন করে গেলে… একটা সময় আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু হল না। তারপর আমরা হাল ছেড়ে দিলাম। তোমারও ৪০-এর বেশি বয়স, আমারও। আর দরকার নেই থাক। আমি একটা দত্তক নিতে চেয়েছিলাম, ভাস্কর রাজি হয়নি। আমার মনে হয়, স্ত্রী হিসেবে আমি ভাস্করকে বাবা হওয়ার সুখটা দিতে পারতাম, কিন্তু সেই ব্যাপার আমি অক্ষম।’, আরও বলেছিলেন ইন্দ্রাণী হালদার।
যদিও অভিনেত্রী স্পষ্ট করেছিলেন যে, সন্তান ‘না-পাওয়া’ থাকলেও, তাঁর ও তাঁর স্বামী ভাস্কর রায়ের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। ‘সন্তানের জন্ম না দেওয়ায়, আমাদের দুজনের মধ্যে কিন্তু কোনো সমস্যা ছিল না। আমরা একদম ঠিক আছি। তবে এটা যেমন সত্যি, তেমন ওটাও সত্যি।’