অবুজ ইন্দুবালার প্রশ্ন, এপার-ওপার একসঙ্গে মিলে কেন তাঁরা যুদ্ধা করছেন না? অলোক তাঁকে বোঝালেন দুই যুদ্ধের পার্থক্য…। ইন্দুবালার কাছে যুদ্ধ বলতে শুধু ‘স্মৃতির যুদ্ধ’। সে যুদ্ধ মনে রাখার নাকি ভুলে যাওয়ার তা তাঁর জা🍸না নেই। সারাজীবন ধরে সেই যুদ্ধই করে গিয়েছে ইন্দুবালা। সযত্নে লালন করেছে সেই স্মৃতিদের।
ইন্দুবালার ⛦দ্বিতীয় ভাগের পর্বগুলি যখন দেখা শেষ করলাম তখন দুচোখ জলে ভরে গিয়েছে। রাত তখন প্রায় আড়াইটে। কানে তখনও বেজে চলেছে ইন্দুবালা সিরিজের আবহ সঙ্গীত। চোখে ভাসছে ইন্দুবালার কলাপোতা গ্রামের ফেল আসা স্মৃতি, ইন্দুর বাল্যপ্রেম মণিরুল, আর ইন্দুবালার ‘স্মৃতির যুদ্ধ’। দুই ছেলেকে নিয়ে সিনেমা দেখতে গিয়েছিল ইন্দুবালা, সঙ্গী ছিল মাছওয়ালি লছমি। প্রেক্ষাগৃহের স্ক্রিনে তখন ফুটে উঠেছে নদীপাড়ের কাশবন, যেখানে দাঁড়িয়ে হীরু (অনুপকুমার)র সঙ্গে কুমুদিনীর সখ্যতা তৈরি হচ্ছে। এ যেন মণিরুলের সঙ্গে তারই প্রেমের গল্প। স্মৃতিতে ডুব দিল ইন্দুবালা। স্বপ্নভঙ্গ হল বোমার শব্দে। নাহ, ইন্দুবালাদের সিনেমা দেখা হল না, বাড়ি ফিরতে হল। কলকাতায় বসেই ইন্দু জানত পারল বাংলাদেশে চলা মুক্তিযুদ্ধের কথা। যে যুদ্ধে নাকি মণিরুলও জড়িয়ে পড়েছ🤪িল। এদিকে কলকাতাও তখন উত্তাল। নকশাল আন্দোলন, পুলিশের সঙ্গে নকশালদের সংঘর্ষে অগ্নিগর্ভ কলকাতা।
দীর্ঘ সময় কেটে যাওয়ার পরও মণি෴রুলের জন্য অপেক্ষা করেছিল ইন্দুবালা। চিঠি এল মণিরুল আসবে, এল অলোক। নকশাল অলোকের হাত ধরেই ইন্দু জানতে পারল দু'দেশে যুদ্ধ চলেছে। কলাপোতা থেকে আসার পর💟ই চারদেওয়ালের মধ্যেই বন্ধ ইন্দুবালা। এত যুদ্ধের কথা তার জানা নেই। অবুজ ইন্দুবালার প্রশ্ন, এপার-ওপার একসঙ্গে মিলে কেন তাঁরা যুদ্ধা করছেন না? অলোক তাঁকে বোঝালেন দুই যুদ্ধের পার্থক্য…। যদিও ইন্দুবালার কাছে যুদ্ধ বলতে শুধু ‘স্মৃতির যুদ্ধ’। সে যুদ্ধ মনে রাখার নাকি ভুলে যাওয়ার তা তাঁর জানা নেই। সারা জীবন ধরে সেই স্মৃতির যুদ্ধই করে গিয়েছে ইন্দুবালা। এ যুদ্ধে অবশ্য ইন্দুবালা কোনওকিছুই ভোলেনি, সযত্নে লালন করেছে সেই স্মৃতিদের।