প্রবীণ লেখক তথা গীতিকার জাভেদ আখতার বলিউডের অন্যতম সফল লেখক। সেলিম খানের সঙ্গে তিনি বেশ কয়েকটি হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। অমিতাভ বচ্চনকে তারকা বানানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। একটা সময় ছিল যখন সেলিম-জাভেদ অভিনেতাদের চেয়েও বেশি পারিশ্রমিক পেতেন। তবে, মিড-ডে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাভেদ তাঁর সংগ্রামের দিনগুলির কথা স্মরণ করে জানান যে, কঠিন সময়েও, তিনি কখনও নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে আপস করেননি। জীবনে হাল ছাড়েননি।
আরও পড়ুন: ভারত-পাক অশান্তির আবহে 'সিতারে জমিন পর'-এর নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন আমির খান
জীবনে সফল হওয়ার ব্যাপারে তিনি কীভাবে এতটা নিশ্চিত ছিলেন জানতে চাওয়া হলে জাভেদ জানান, তাঁর বন্ধুরা তার মধ্যে এই বিশ্বাস জাগিয়ে ছিলেন। তাঁর সংগ্রামের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমি অনেক কঠিন সময় দেখেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি খাবার কোথায় পাবো তাও আমার জানা ছিল না। সকালের জলখাবার কথা ছেড়ে , আমি ভাবতাম দুপুরের খাবারও পাবো কিনা। রাতে কোথায় ঘুমাবো তাও জানতাম না। এভাবে কয়েক বছর ধরে চলতে থাকে, শুধু সপ্তাহ বা মাস নয়। আমার কাছে মাত্র দুটি পোশাক ছিল। একটা লন্ড্রিতে থাকবে এবং অন্যটি পরবো। কিন্তু আত্মহত্যার চিন্তা আমার মাথায় কখনও আসেনি।’
আরও পড়ুন: 'আমার বা আমার বাবার রক্তে কোনও দিন ছিল না…', বড় পর্দায় হিয়ার ডেবিউয়ের আগে কেন এমন বললেন বাবা শাশ্বত?
জাভেদ জানান যে, দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে অনাহারে থাকার পরও, মাহিম দরগার বাইরে খাবার চাওয়ার কথা তাঁর মাথায় আসেনি। তিনি বলেন, ‘আমি সেখানেই মারা যেতে পারতাম। আমার এত বেশি আত্মসম্মান ছিল, যে বলার কথা নয়। আমি এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম।’
‘জাঞ্জির’, ‘দিওয়ার’ এবং ‘শোলে’-এর মতো হিট ছবিতে কাল্ট ক্লাসিক গানের জন্যও বিখ্যাত। ‘সাজ’, ‘বর্ডার’, ‘গডমাদার’, ‘রিফিউজি’ এবং ‘লগন’ ছবিতে তার কাজের জন্য তিনি পাঁচবার সেরা গানের জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতেছেন। সম্প্রতি, তিনি 'যুদ্ধ' ছবির জন্যও গান লিখেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ‘সাথিয়া’ এবং ‘হট্ট জা বাজু’ গানগুলি।