১৯৮৩ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি এসেছিল ভারতে। আর সেই ম্যাজিকই পর্দায় নিয়ে এসেছিলেন রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন, কবীর খানরা। গত ডিসেম্বরে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল '৮৩'। ছবি সমালোচকদের অকুন্ঠ প্রশংসা কুড়োলেও বক্স অফিসে দারুণ কোনও সাফল্য পায়নি এই ছবি। বর্তমানে ডিজনি+হটস্টার এবং নেটফ্লিক্স ইন্ডিয়া, এই দুই জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। এবার '৮৩' ছবি দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন ১৯৮৩ সালের ভারতের বিশ্বকাপজয়ী নায়ক কপিল দেব স্বয়ং!কপিল জানিয়েছেন ছবির 'ফার্স্ট কাট' দেখার সুযোগ পেলেও তিনি রাজি হননি। ছবি নির্মাতাদের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন একেবারে ৮৩-র তাঁর দলের সদস্যদের সঙ্গে বসে প্রিমিয়ার শো-এ এই ছবি দেখবেন তিনি। শেষমেশ মুম্বইয়ে হওয়া '৮৩'-র প্রিমিয়ারে হাজির হয়ে তাঁর বিশ্বকাপজয়ী দলের সঙ্গে সেই ছবি দেখেন ভারতের কিংবদন্তি এই ক্রিকেটার। নেটফ্লিক্স আয়োজিত এক টক শো-তে সঞ্চালক গৌরব কাপুরকে কপিল তাঁর '৮৩' ছবি দেখার অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, 'প্রথমবার এই ছবি দেখে খুব যে স্পেশ্যাল কিছু লেগেছিল, এমনটি নয়। মনে হয়েছিল, ঠিক আছে। কিন্তু যখন, দ্বিতীয়বার এই ছবি দেখতে বসেছিলাম প্রচণ্ড আবেগপ্রবণ হয়ে গিয়েছিলাম। আমার এমনিতেই একটু আবেগ বেশি, তাই দ্বিতীয়বার ৮৩ দেখার সময় ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলাম। বাঁধ ভাঙছিল না চোখের জল। শুধু বারবার মনে হচ্ছিল,এইভাবে সেবার আমরা সবাই মিলে খেলেছিলাম। কীসব পরিস্থিতি পেরিয়ে এসেছিলাম। আর তৃতীয়বার বসে তো দেখতেই পারিনি। উঠে চলে এসেছিলাম। আমাদের কত, কত স্মৃতি। সব হুড়মুড় করে ফিরে আসছিল। কতক্ষণ সহ্য করা যায়? জানিয়ে রাখি এই ছবিতে যা দেখানো হয়েছে তার ৯৮% সব সত্যি! পর্দায় হয়ত আমরা নেই, দৃশ্যও একটু অন্যরকম। কিন্তু গল্প? সেগুলো তো আর বদলায়নি। আজও পুরোপুরি এক।' সামান্য থেমে কপিল আরও বলেন, 'এইজন্যই সেই সময়ই প্রকাশ্যে বলেছিলাম কবীর, রণবীর এককথায় গোটা ৮৩ ছবির টিম অসাধারণ কাজ করেছেন। জানেন তো, আমার দেখা সেরা স্পোর্টস মুভি ভাগ মিলখা ভাগ। তাই আমি ওঁদের বলতাম, যদি আমরা ওই ছবির অন্তত পঞ্চাশ শতাংশের কাছাকছি নিয়ে যেতে পারি ৮৩-কে, তাহলেই বুঝব দারুণ ছবি হয়েছে এটি। তাই আমার মনে হয়, সবমিলিয়ে এককথায় দারুণ এই ছবি।'