গত ৯ অগস্ট কলকাতার বুকে যে ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে গিয়েছে তাতে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সকলে। পথে নেমেছে আম আদমি। বারংবার, দফায় দফায় বিভিন্ন জায়গায় চলছে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, ধর্না, জমায়েত। ২৩-২৪ দিন হয়ে যাওয়ার পরও এতটুকু ঝিমিয়ে পড়েনি আরজি করের নির্যাতিতার বিচার চাওয়ার রব। সাধারণ মানুষের সঙ্গে পথে নেমেছেন তারকারাও। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় সপ্তাহের শুরুর দিন, ২ সেপ্টেম্বর স্ত্রী এবং পুত্রকে নিয়ে যা🙈দবপুর ৮ বির 🐈সামনের প্রতিবাদী জমায়েতে অংশ নিয়েছিলেন। সেখান থেকেই একটি ভিডিয়ো বানিয়ে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন পরিচালক, অভিনেতা। একই সঙ্গে ছোটদের জন্য দিলেন বিশেষ বার্তাও।
আরও পড়ুন: 'কাকু এক কৌটো লজেন্স দ🃏িল...' ডাক্তারদের ব🌟িক্ষোভে মানুষের সমর্থনে অভিভূত সোহিনী
কী লিখলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়?
সেই ১৪ অগস্টের রাত দখলের পর থেকে যত মিছিল, জমায়েত হয়েছে সবেতেই কম বেশি বড়দের সঙ্গে ছোটদের দেখা গিয়েছে। তাদেরও স্লোগান দিতে দেখা গিয়েছ এদিনও তেমন ভাবেই যাদবপুর ৮ বিতে বাড়ির কারও সঙ্গে জমায়েতে এসেছিল এক খুদে। গানের সুরে সুরে সবাই যখন নির্যাতিতার সঙ্গে ঘটা অন্যায়ের বিচার চাইছিল সেও ছিল সেখানে। তার একটা ভিডিয়ো বানিয়ে এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন 🀅কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
তিনি এই পোস্টের ক্যাপশনে লেখেন, 'সবাই দি🍨ন রাত এক করে হাঁটছে, গাইছে, আঁকছে, স্লোগান দিচ্ছে তোমাদের জন্যই সোনা মেয়ে। প্রতিবাদের সুরের শব্দে বড় হয়ে ওঠো আ🐎মাদের এই শহরেই! আমরা যেন তোমায় আরো সুরক্ষিত একটা নাগরিক জীবন দিয়ে যেতে পারি।'
আরও পড়ুন: 'বলবি অশ༺ৌচ...' 'ব𝓰োন'-এর মৃত্যুর প্রতিবাদ, এবার পুজোয় চাঁদা না দেওয়ার ঘোষণা শ্রুতির
সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ ভাইরাল হয়েছে এই পোস্ট। কয়েক লক্ষবার দেখা হয়েছে এই ভিডিয়োটি। এক ব্যক্তি এই পোস্টে মন্তব্য করে লেখেন, 'আর একটাও প্রদীপ যেন না নেভে অসময়ে। রাত ভোর হোক, নতুন সকাল, সুসময়ে ও মেয়ে তোর চোখের তারায় স্বপ্ন থাকুক। আগুনের পরশমণি প্রাণে লাগুক।' দ্বিতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'ঈশ্বর সহায় হোন আমাদের এই অসম যুদ্ধে, ছোট্ট নিষ্পাপ মেয়েটির মুখের দিকে তাকান, আবহ শুনুন। এই তো রণাঙ্গন, এই তো পুজোর আঙ্গিনা। আমরা এখনো বেঁচে আছি, আগামী প্রজন্মের কাছে প্রমাণ করার এই আমাদের শেষ সুযোগ।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'একদম সত্যি, সত্যি সত্যি ভয় হয়, চিন্তায় মনটা ভার হয়ে আছে। আমরা আমাদের মেয়েদের আগামী দিনে একটা সুন্দর জীবন উপহার দিতে প🐲ারব তো। এই অসুস্থ সমাজে আমাদের মেয়েদের কি নিরাপত্তা কি থাকবে। যে বা যারা এই সমাজ ব্যবস্থার মাথার উপর আছে বা আছেন যতক্ষণ তারা ঠিক না হলে এই সমাজ ব্যবস্থার কোনো উন্নতি হবে না।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, করতেই হবে।'