দেখতে দেখতে এক বছর পার, আজ ৩১ মার্চ ফিরে এসেছে সেই অভিষপ্ত দিন। গত বছর এই দিনেই কলকাতায় কনসার্ট করতে এসে আচমকাই মৃ্ত্যু হয়েছিল জনপ্রিয় বলিউড গায়ক কেকে-র। এমন একটা ঘটনা আশাতীত ছিল না একেবারেই। হঠাৎই খালি হয়ে যায় স্ত্রী জ্যোতির জীবন। দুই সন্তান নকুল ও তামারাকে নিয়ে একেবারেই একা হয়ে যান তিনি। সেই কোন ছোটবেলা থেকে কেকের সঙ্গী তিনি, স্কু♎লজীবন থেকেই তিনি ছিলেন কেকের ভালোবাসার মানুষ।
কীভাবে শুরু হয়েছিল কেকে ওরফে কৃষ্ণ কুমার কুন্নাথ ও জ্যোতꩲির প্রেম?
কপিল শর্মার শোয়ে এসে একবার জ্যোতির সঙ্গে তাঁর প্রেমের গল্প নিজেই জানিয়ে💎ছিলেন কেকে। বলেন, তাঁর সঙ্গে জ্যোতির পরিচয় ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে। সেসময়ই জ্যোতির প্রতি হৃদয়ে বিশেষ অনুভূতি তৈরি হয়। আর দেরি না করে সোজা গিয়ে তাঁকে মনে কথা বলে ফেলেছিলেন কেকে। জ্যোতি হলেন কেকের ছোটবেলার প্রেম, আর তাঁর সঙ্গেই পরবর্তী জীবনে ঘর বেঁধেছিলেন গায়ক।
কেকে জানান, জ্যোতিকে বিয়ে করার জন্য একসময় সেলস ম্যানেরও চাকরি নিতে হয়েছিল গায়ককে। কেকে বলেছিলেন, ‘জ্যোতিকে বিয়ে করার কয়েকদিন আগে পর্যন্ত বেকার ছিলেন। কিন্তু বেকার ছেলের সঙ্গে কেউ মেয়ের বিয়ে দেবে না। তাই বাধ্য হয়েই♑ সেলস ম্যানের চাকরি নি। যদিও মাত্র তিনমাস সেই কাজ করেছিলাম। তারপর অবশ্য গায়ক হিসাবেই কেরিয়ার শুরু করি🐠।’ স্ত্রী আর শ্বশুরমশাইয়ের অনুপ্রেরণাতেই গানে মন দেন কেকে। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল কেকে-র ডেবিউ অ্যালবাম ‘পল’। ব্যস, তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি কেকেকে।
ছোটবেলার বান্ধবী থেকে স্ত্রী জ্যোতি প্রস কেকে জানিয়েছিলেন, সারাজীবনে তিনি ওই একটি মেয়েকেই ডেট করেছেন। ১৯৯১ সালে জ্যোতিকে বিয়ে করেছিলেন কেকে। বিয়ের তিন বছর পর ১৯৯৪ সালে দিল্লি থেকে মুম্বইয়ে এসে নতুন ঠিকানা খোঁজেন তিনি। তার আগে পর্যন্ত দিল্লিতে তিনি একাধিক বিজ্ঞাপন ও জিঙ্গলের জন্য গান গেয়েছেন। তবে তারপর সেখানে আর কিছুই করার ছিল না, তাই দিল্লি ছেড়ে সপরিবারে মুম্বই চলে আসেন। শুরু হয় নতুন লড়াই, তবে জীবনে সমস্ত মুহূর্ত স্ত্রী জ্যোতি তাঁর পাশেই ছিলেন বলে বারবার স꧑্বীকার করেছেন কেকে।