গত ১৯ অক্টোবর কলকাতার বুকে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শ্রেয়া ঘোষালের কনসার্ট। নেতাজি ইনডোরে স্টেডিয়ামে বস𒐪েছিল চাঁদের হাট। সেই অনুষ্ঠানের শেষে শ্রেয়া ঘোষাল আরজি করের নির্যাতিতাকে উদ্দেশ্য করে, নারীদের উপর হওয়া অত্যাচারের প্রতিবাদꦅে একটি গান গান। এদিন সেই গান নিয়ে একটি পোস্ট করলেন কুণাল ঘোষ। কী লিখলেন তাতে?
আরও পড়ুন: একচ্ছত্র আধিপত্য রইল না আর! রিলায়েন্স-সারেগামা নয়, ক𝕴াকে ꦫধর্মা প্রোডাকশনের ৫০ শতাংশ বেচলেন করণ?
কী লিখেছেন কুণাল ঘোষ?
কুণাল ঘ🧔োষ এদিন ফেসবুকের পাতায় একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, 'শ্রেয়ার গান যথাযথ। যাঁরা এ নিয়ে রাজনীতি করতে নেমেছেন, তাঁরা মনে রাখুন, শ্রেয়া প্রথম দিন থেকে বলেছেন নারী নির্যাতনের সমস্যাটা গোটা দেশের সমাজের। তিনি বাঙালি, কলকাতায় গেয়েছেন, ঠিক করেছেন, স্বাগত জানাই। শিল্পী তাঁর মানসিকতা আগে থেকেই বলেছেন। নিজেদের কুৎসার এক তরফা লাইনে ব্যবহার করবেন না। এটা গণতান্ত্রিক রাজ্য, শিল্পী গাইতে পারেন। অন্য রাজ্যে এটা হয় না।'
কী ঘটেছিল শ্রেয়া ঘোষালের কনসার্টে?
শ্রেয়া ঘোষাল সাধারণত তাঁর সমস্ত কনসার্টের শেষে মেরে ঢোলনা গানটি গেয়ে থাকেন ভুল ভুলাইয়া ছবি থেকে। তবে কলকাতার কনসার্💫টে তিনি সেই গান গাননি। বরণ নতুন একটি গান গান যা তিনি আরজি কর নির্যাতিতা এবং একই সঙ্গে যে মহিলারা অত্যাচারের শিকার তাঁদের উদ্দেশ্যে গান। এদিন এই গান গাওয়ার আগে তিনি সকলকে অনুরোধ করেন কেউ যেন হাততালি না দেন গানটি শুনে। এমনকি সেটা গেয়ে তিনি এক মুহূর্ত দাঁড়াননি স্টেজে। চুপচাপ বেরিয়ে যান।
কে কী লেখেন কুণাল ঘোষের পোস্টে?
এক ব্যক্তি এদিন কুণাল ঘোষের পোস্টে লেখেন, 'এটাই বাস্তবে গনতন্ত্র রাজ্য তাঁর প্রমাণ দিচ্ছেন অনেকেই, বম্বে বা অন্যান্য কোথাও এই ধরনের কথা, গান, নাটক করা যায় না।' আরেকজন লেখেন, 'প্রতিবাদ করার অধিকার সবার আছে, অন্যায়ের প্রতিবাদ হওয়াই উচিত, কিন্তু শুধ🤡ু বাংলার অভয়ার জন্য গান গাইবেন, অন্য রাজ্যের নির্ভয়ার ক্ষেত্রে ভয়ে এড়িয়ে যাবেন, এমন প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধেই আমার প্রতিবাদ।' তৃতীয় জন লেখেন, 'দাদা শুধু কলকাতায় কিছু হলেই এদের গান আসে? ধর্ষণ খুন আজ সামাজিক ব্যাধি, সারা দেশের সব রাজ্যে ঘটে চলেছে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে কোনও প্রতিকার নেই, কিন্তু বাংলার মাটি নরম বলে কি এখানেই আঁচড় কাটতে হবে? দিল্লিতে ঘটে যাওয়া নির্ভয়ার মর্মান্তিক ঘটনার পরও শ্রেয়া চুপ ছিলেন যদিও তখনও তিনি যথেষ্ঠ বিখ্যাত, এখনই গান গাওয়ার কথা মনে হল?' চতুর্থ জন লেখেন, 'রাজ্যে কোনটা যথাযত আর কোনটা নয়, এখন সেটা ঠিক করছেন চুরির দায়ে জেল খাট লোকজন! সত্যিই বাংলার খুব দুরাবস্থা।' পঞ্চম ব্যক্তি লেখেন, 'নির্বিকার-উদাসীন থাকাটাও আসলে গণতন্ত্র! প্রমাণ লোপাটের সময় যদ🐠ি এই গণতান্ত্রিক পরিবেশটা থাকত, তাহলে বোধহয় এতদিনে বিচার প্রক্রিয়া আর একটু ত্বরান্বিত হত।'