সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছুর ধরন, রকম বদলায়। বদলই যেন এক মাত্র কনস্ট্যান্ট। একটা সময় ছিল যখন নিউ ইয়ার উইশ গ্রিটিংস কার্ড ছাড়া সম্পূর্ণই হতো না। ৯০ দশকের ছেলে মেয়েরা তো রীতিমত গুনতো কে কটা গ্রিটিংস কার্ড পেল, কাকে কোন গ্রিটিংস কার্ড দেবে, কী লিখব তাতে কোন প্ল্যানিং চলতো। কিন্তু আজকাল GIF, মেসেজের ভিড়ে সেসব বেপাত্তা। আজকালকার বাচ্চাদের মধ্যে গ্রিটিংস কার্ড নিয়ে উত্তেজনা দেখা যায় না। আর সে🍌ই স্মৃতি যেন এদিন লাফটারসেন ওরফে নিরঞ্জন মণ্ডল🐟, বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় কন্টেন্ট ক্রিয়েটর উসকে দিলেন। তাঁর ভিডিয়ো দেখে আবেগঘন হয়ে পড়েছেন নেটিজেনরা।
কী ঘটেছে?
এদিন লাফটারসেন যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে বুড়ি হয়ে যাওয়া গ্রিটিংস কার্ড ওরফে জিসি আম্মা বসে আছে। আর তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে ☂নিউ ইয়ার। তাকে দেখেই গ্রিটিংস কার্ড বলে ওঠে, 'আজকাল নতুন বছররা আসছে আমার কাছে!' জবাবে নিউ ইয়ার বলে, 'ভাবলাম তোমার সথে একবার দেখা করে আসি। কত শুনেছি তোমার কথা। নিউ ইয়ারকে কত হেল্প করেছ তুমি।'
গ্রিটিংস কার্ড বলে ওঠে, 'হেল্প নয় রে। এককালে নতুন বছরের ক্যাম্পেন আমি লঞ্চ করতাম। সবার আঁতুড়ঘর সামলেছি আমি। তোরা আজকালকার নতুন বছর আর কী বুঝবি? আমার রিটায়ার করার বয়স হয়ে গেল। আজকালকার বাচ্চারা এই বুড়ꦡিকে অত মানে না। আমার তো ছিল ৯০ দশকের বাচ্চাগুলো। বাবা কী মাতামাতি করত!' পরিশেষে গ্রিটিংস কার্ডকে নতুন বছরকে একটা গ্রিটিংস কার্ড দিতে দেখা যায়। এটা দেখেই আবেগঘন হয়ে পড়েছেন সকলে।
কে কী বলছে!
এক ব্যক্তি লেখেন, 'সত্যিই বাবা! রীতিমত গুনতাম কার কটা গ্রিটিংস কার্ড হল কোন বছর। কোন বছর কতগুলো কার্ড কিনতে হবে, কাকে দেব, কাকে দেব না, কার জন্য সবথেকে ভালো কার্ড কিনতে হবে কত প্ল্যানিং থাকত। আর এখন! অকারণ বড় হলাম।' আরেকজন লেখেন, '১ টাকা ২ টাকার কিনতাম গোটা ক্লাস꧒ের জন্য। ১ টাকারগুলো সবার জন্য আর ২ টাকার কিনতাম ক্লোজ বন্ধুগুলোর জন্য। জীবনে কিছু পাই না পাই অনেকগুলো সুন্দর সুন্দর দিন, ভালো ভালো দিন কাটিয়েছি।' তৃতীয় ব্যক্তি লেখেন, 'মনটা খারাপ হয়ে গেল।' চতুর্থ ব্যক্তি লেখেন, 'কতো যে কিনতাম😼, শেষই হতো না, আর কে কটা পেলাম চলত তারই হিসাব।'