'হাম ৫০০ সাল হিন্দুয়ো পর হুকুমত কি হ্যায়। কেয়া হাম উন কাফিরো কি হুকুমত মে রহেঙ্গে?' প্রশ্ন তুলতে দেখা গেল এক মুসলিম নেতাকে🔴। তারপরই আওয়াজ উঠল, ‘না রহেগা হিন্দুস্থানಞ, হাম রহেঙ্গে পাকিস্তান।’ এমনই এক সাম্প্রদায়িক হিংসাকে প্রেক্ষাপট করেই তৈরিই হয়েছে 'মা কালী' ছবিটি। ৪ জুলাই, বৃহস্পতিবার সামনে এল ছবির টিজার।
সেটা ছিল ১৯৪৬ সালের ১৬ অগস্ট, যে দিনটি ইতিহাসে ‘ক্যালকাটা কিলি🐽ংস’ নামেও পরিচিত। ১৯৪৬ সালের অক্টোবরে ঘটে যাওয়া সেই 'নওখালি দাঙ্গা', যেটা কিনা ‘নওখালি গণহত্যা’ হিসাবেই পরিচিত। সেই মুছে যাওয়া ইতিহাসের কিছু অংশকে প্রেক্ষাপট করেই 'মা কালী' ছবিটি 😼বানিয়েছেন পরিচালক বিজয় ইয়েলকান্তি। যিনি কিনা এর আগে কার্তিকেয়-২র মতো ছবি বানিয়েছেন।
১৯৪৬ সালে ব্রিটিশ ভারতের আধারেই তৈরি হয়েছে এই ছবি। 'মা কালী'র ৩৭ সেকেন্ডের টিজারে উঠে এল সেসময়ের সেই সাম্প্রদায়িক ঘটনার বিভৎসতা। ধর্ম, হানাহানি, হিংসা, যা দেখলে যে কেউ শিউরে♍ উঠবেন…।
টিজারে উঠে এসেছে 𒁃এক হিন্দু মেয়ের কপাল থেকে সিঁদুরের লাল টিপ মিছে ফেলা থেকে, মা কালীর মূর্তি ভেঙে ফেলা, দেওয়ার থেকে মুছে ফেলা ওঁ শব্দ। মেয়েদের হাত থেকে জোর করে শাঁখা-পলা ভেঙে ফেলার মতো বিভৎসতা। আবার কখনও মানুষ মেরে ম্যানহলে ফেলে দেওয়া হল। ভয়ঙ্কর সেই সময় উদ্বিগ্ন মুখে হেঁটে চলতে দেখা গেল রাইমাকে। ব্যাকগ্রাউন্ডে এক মেয়ের গলায় শোনা গেল, ‘এই অত্যাচার ততদিন পর্যন্ত চলেছিল, যতদিন না, সমস্ত হিন্দু লোক…’।
দেশের এই অস্থির পরিস্থিতি তুলে ধরে এই ছবি প্রসঙ্গে রাইমা সেনের বক্তব্য, ‘এই ছবি দেখে যদি কারোর খারাপ লাগে, তাঁদের বুঝতে হবে এটা কিন্তু বাস্তবেই ঘটেছিল। এই গণহত্যার সময় আমাদের এখনকার লোকজন যে নৃশংসতার মুখোমুখি হয়েছিল তার গল্পটা একজন বাঙালি হয়ে আমায় গভীরভাবে অনুরণিত করেছে। তবে আবার বাঙালি হওয়া সত্ত্বেও, এই হৃদয়বিদারক ঘটনার অনেক খুঁটিনাটি সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না, তাই যখন এই ছবিটি আমার কাছে এসেছিল, তখন ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে-র সত্যতা বরꦕ্ণনা করা আমার কাছে একটা নৈতিক দায়িত্ব হয়ে পড়েছিল।'
এর আগে মা কালী-র পোস্টার মুক্তির সময় বহু হুমকি ফোনের মুখে পড়তে হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন রাইম𓆉া। যদিও তিনি তাতে বিন্দুমাত্র ভয় পেতে নারাজ। প্রসঙ্গত, হিন্দি, বাংলা ও তেলুগু এই তিন ভাষায় মুক্তি পেতে চলেছে 'মা কালী' ছবিটি।