আরিয়ান খান মামলায় নতুন মোড় এসছে শনিবার। মাদক মামলায় শাহরুখ পুত্র যে ষড়যন্ত্রের সাথে যুক্ত তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি! বম্বে হাইকোর্টে আরিয়ানের জামিনে যে বিস্তারিত রায় দিয়েছে তাতে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। বিচারপতি নীতিন সামব্রে জানিয়েছেন, মাদক মামলায় ষড়যন্ত্রের জন্য আরিয়ানের ওপর নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)র তরফে যে দাবি করা হয়েছে, তা খারিজ করে দেওয়া হচ্ছে। হাইকোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্তরা ক্রুজে যাচ্ছিলেন - শুধুমাত্র ꦯসেই ভিত্তিতে তাঁদের বিরুদ্ধে মাদক আইনের ২৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করা যাবে না। যেহেতু ষড়যন্ত্রের কোনও প্রমাণ মেলেনি, তাই ৩৭ ধারায় জামিনের কঠোর নিয়ম কার্যকর হবে না।
আর এবার 🎀শোনা যাচ্ছে বম্বে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে পারে এনসিবি। ২ অক্টোবর প্রমোদতরী থেকে গ্রেফতার হয় তিন হাই-প্রোফাইল মুখ, আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচা। যদিও আরবাজ ও মুনমুনের কাছ থেকে সামান্য মাদক মিললেও আরিয়ানের কাছ থেকে কিছু পাওয়া যায়নি। তবে তাতেও রেহাই পাননি শাহরুখ পুত্র। হাজতবাসও হয়েছিল তাঁর। ৩১ অক্টোবর তিনি ছাড়া পান আর্থার রোডের জেল থেকে।
শনিবার হাই কোর্টের রায় সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে বলিউড। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তবে কি শাহরুখ খানের ছেলে বলেই আরিয়ানের এই হয়রানি। কেন তবে প্রায় একমাস তাঁকে থাকতে হল কখনও এনসিবি বা কখনও বিচারবিভাগীয় হেফাজতে। এমনকী, এনসিবির দিকেও আঙুল তুলেছেন কেউ কেউ। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী নবাব মালিক কো জানিয়েই দিয়েছেন, আরিয়ানক𝐆ে অপহরণ করে টাকা আদায় করার উদ্দেশ্য ছিল কিছু এনসিবি কর্তার। তবে, সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পরেই গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ খানের ছেলেকে!