বিতর্ক আর নোবেল যেন মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একাধিক নারীসঙ্গ, মাদকাসক্তির মাঝেই এবার নোবেলের বিরুদ্ধে কিডন্যাপিং-এর অভিযোগ! গত রবিবারই এক সুন্দরীর সঙ্গে ফেসবুকে ঘনি♏ষ্ঠ ছবি দিয়ে তাঁকে নিজের চতুর্থ স্ত্রী বলে দাবি করেন নোবেল ম্যান! সারেগামাপা খ্যাত শিল্পীকে সদ্যই ডিভোর্স দিয়েছেন সালসাবিল মাহমুদ। তারপর নোবেলর জীবনের মিস্ট্রি গার্লকে ঘিরে শুরু হয় হইচই! তবে সত্যি সামনে আসার পর স্তব্ধ সকলে।
নোবেল যাকে স্ত্রী পরিচয় দেন, সেই ফারজানা আরশিই গায়কের নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ফারজানাꦰর সাফ কথা, নোবেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি। জোর করে গায়ক গোপালগঞ্জের বাড়ি থেকে তুলে আনে তাকে। দেয় প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি। পরে ড্রাগস খাইয়ে ওই অন্তরঙ্গ ছবিগুলো তোলে। এই অভিযোগের মাঝেই ঢাকার এক রিহ্যাব সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে নোবেলকে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে নোবেলের পরিবার।
গত বুধবার বিকেলে ফেসবুকে বিস্ফোরক পোস্ট লেখেন আরশি। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি প্রসঙ🃏্গে আরশি জানান, ‘নোবেল জোর করে নেশা করিয়ে ছবি🌳গুলো তুলেছে। নোবেলের সাথে আমার বিয়ে হয়নি এবং কোনো সম্পর্কও নেই। আমি পরিবেশ এবং পরিস্থিতির শিকার।’
কীভাবে নোবেলের সঙ্গে আরশির পরℱিচয়? সেটাও খোলসা করেন তিনি। ফেসবুকে লেখেন, 'আমি খুলনায় বিভিন্ন ব্লগ করে থাকি, সেজন্য একটি ভিডিয়ো কনটেন্ট বানানোর উদ্দেশ্যে নোবেলের বাড়ি গোপালগঞ্জ যাই। আমার সঙ্গে আমার এক বান্ধবী ও ছিল। ওখানে যাওয়ার পর পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায়। নোবেল তার মায়ের সামনেই আমার গলায় ছুরি ধরে এবং আমার ফোনটি কেড়ে নেয় এবং জোর করে আমাকে ঢাকায় তার বাসায় নিয়ে যায়। আমাকে বিভিন্ন ড্রাগ জোড় করে সেবন করায় এবং মারধর করে। আমি পরিꦜবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।’
পুলিশের সহযোগিতায় তাঁর বাবা এবং তুতো ভাইয়েরা তাঁকে উদ্ধার করতে গেলেও লাগাতার হুমকি ꦇদিয়েছিল নোবেল। মাদকাসক্ত অবস্থায় পুলিশের কাছে মিথ্যা বয়ান দিতেও বাধ্য করে নোবেল। পরে পরিবার তাঁকে উদ্ধার করেছে বলে জানান আরশি। এখন তিনি নিজের খুলনার বাড়িতে রয়েছেন।
♚এদিকে নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ আগেই জানিয়েছিল অন্যের স্ত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে নোবেল। তাঁর দাবি, ফুড ব্লগার নাদিম আহমেদের বিবাহিতা আরশি। নোবেল মেয়েটিকে জোর করেও তুলে নিয়ে যেতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন সালসাবিল। নোবেলের মাদকাসক্তির কারণেই তাঁকে ডিভোর্স দেন সালসাবিল, আগেই জানিয়েছেন তিনি।ꦓ