♚ প্রেটি শি ইজ নামেই সকলে তাঁকে চেনেন। তাঁর মেকআপ করানোর পদ্ধতি, পাপা কী পরীর সঙ্গেও সকলে পরিচিত। কিন্তু জানেন কি কীভাবে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হন প্রীতি সরকার? অতীত সম্পর্কেও বা কী কী সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে মুখ খুললেন সেই বিষয়ে।
কী জানালেন প্রীতি?
🧜অতীতে জোশ টকসে এসেছিলেন প্রীতি সরকার। সেখানেই তিনি তাঁর অতীতের টক্সিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন কীভাবে তিনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ওঠেন। সেই পুরনো ভিডিয়োতে প্রীতিকে বলতে শোনা যায়, '২০১৮ সালে আমি একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। আমি যেহেতু তখন বেশ জনপ্রিয় ছিলাম, আমার সম্পর্কটাও বেশ জনপ্রিয় ছিল। আর আমি মানুষ হিসেবে একটু চাপা। আমি আমার ভালো জিনিসগুলো আমি সবার সঙ্গে শেয়ার করি। কিন্তু খারাপ জিনিসগুলো আমি চট করে সবাইকে বলতাম না। তো সবাই জানত খুব সুখী আছি। কিন্তু সম্পর্কটা ভীষণ অ্যাবিউসিভ, হ্যারাসিং আর ম্যানিপুলেটিভ ছিল। যখনই আমি বেরোনোর চেষ্টা করতাম আমায় ব্ল্যাকমেল করত।'
🔜তিনি এদিন আরও জানান সেই ব্যক্তি তাঁকে রাস্তায় গালিগালাজ করত। কলেজ যাওয়ার সময় নানা ধরনের গালি দিত। তারপরই তিনি ঠিক করেন যে সেই সম্পর্কে আর থাকবেন না। এরপর সেই ব্যক্তি তাঁর বাড়ি এসে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। প্রীতির বাবার সঙ্গেও অকথ্য ভাষায় কথা বলেন বলেও জানান তিনি। সেই সময়টা কঠিন ছিল বলেও ব্যাখ্যা করেন। তাঁর বাবা তাঁকে ঘরে বন্দি করে রাখেন একপ্রকার, ছিল না কোনও বন্ধুও। বন্ধু থেকে পাড়া প্রতিবেশীরা ভাবতেন দোষ তাঁর। সেই সময় একাধিকবার নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টাও করেন প্রীতি।
🥃সেই সময়ের কঠিন স্মৃতি হাতড়ে তিনি এদিন আরও বলেন, 'ফেসবুক পোস্ট করা হয়, শুধু আমাকে নিয়ে নয়, আমার গোটা পরিবারকে নিয়ে লেখা হয়। ভুল। ওটার জবাব আমায় আজ পর্যন্ত দিতে দেওয়া হয়নি। সেই পোস্টে বলা হয় আমি নাকি তাঁর সঙ্গে টাকার জন্য ছিলাম। আমার মা, দাদা, বাবা সবার চরিত্র নিয়ে বলা হয়। বহরমপুরে গেলে এখনও খারাপ কথা শোনা যায়।'
🃏প্রীতি জানান সেই সময় থেকেই তিনি ভিডিয়ো বানানো শুরু করেন যখন ঘরে একা প্রায় গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতেন। নাম দেন একটি বিউটি পেজেন্টে। জেতেনও সেটা। কিন্তু তারপরই রটানো হয় তাঁর নামে আরও নানা মিথ্যা কথা।
আরও পড়ুন: 🥀'তোমায় কখনও ভুলব না...', প্রিয়জনের মৃত্যুতে শোকে পাথর! বছরের শুরুতেই কাকে হারালেন ম্রুণাল?
ꦜএতদিন যে যে গুজব রটেছে প্রীতির নামে এদিন সেসব নিয়েই মুখ খোলেন। জানান, 'গর্বের একটা সময় ছিল ওটা। তার কিছুদিন পর আমি শুনতে পাই ওদিক দিয়ে বলা হচ্ছে, যে আমি কোন একজন রাজনীতিকের সঙ্গে শুয়ে জিতেছি যার মুখ আমি কখনও দেখিনি। লোকে যখন কোনও টপিক পায় না মানহানি করার তখন নিজের বানায়।'
𓆏তাঁর কথায়, সেই সময় তিনি ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়ান। বানাতে শুরু করেন বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট। কখনও মজার, কখনও মেকআপের, তো কখনও অন্য কিছুর।