৯ মে ঘটা উদযাপিত হয়েছে ২৫ বৈশাখ। আর রবি ঠাকুরের জন্মদিনেই মুক্তি পেয়েছে গায়িকা পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাওয়া রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘জগৎ জুড়ে উদার সুরে’। তবে শুধু রবীন্দ্রনাথের গাওয়া গানই নয়, এই গানের উপর একটি মিউজিক ভিডিয়োও বানিয়ে ফেলেছেন পৌষালী।
এই মিউজিক ভিডিয়োতেও পৌষালীকে কবিগুরুর জন্মদিনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যাচ্ছে। এখানে তাঁকে লাল পাড় সাদা শাড়িতে চিরাচরিত বাঙালি সাজে দেখা যায়। একটি বড় দালান বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের ছবি রেখে, তাতে মাল্যদান করতেও দেখা যায় গায়িকাকে। এরপর রবি ঠাকুরের ছবির সামনে বসে হারমোনিয়াম বাজিয়ে গানও গান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণী। এই মিউজিক ভিডিয়োটি মুক্তি পাওয়ার সঙ্গেই মন ছুঁয়েছে বহু অনুরাগীর। অনেককেই ইউটিউবের কমেন্ট বক্সে গায়িকার এই গানের প্রশংসা করেছেন।
এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে পৌষালী Hindustan Times Bangla-কে জানান, ‘আমার প্রথম গুরু আমার মা।’ আমার জন্ম ও বেড়ে ওঠা চিত্তরঞ্জনে (আসানসোল)। তারপর সেখানেই রুদ্রজিৎ বাগচী নামে এক শিক্ষকের কাছে গান শিখি। তিনি যদিও এখন আর নেই। এরপর ২০০৪এ শান্তিনিকেতনে যাই, সেখানে গান নিয়ে পড়াশোনা করি। প্রশান্ত ঘোষ, বুলবুল বসু, প্রশান্ত ঘোষ, স্বস্তি মুখোপাধ্যায়, মোহন সিং খাঙ্গুরা সহ একাধিক জনের কাছে গান শিখেছি। স্বস্তিকা দিও এখন আর বেঁচে নেই।
তবে শান্তিনিকেতন থেকেই আমার রবীন্দ্রনাথের প্রতি ভালোবাসা, কবিগুরুর গানের প্রতিটা লাইনের অর্থ বুঝে গান গাইতে শেখা। এখনও শান্তিনিকেতনের ওই ঘণ্টাতলায়, মন্দিরে বসে গান গাওয়ার কথা ভীষণ মনে পড়ে। এখন যদিও প্রাক্তনী। সেটা ছিল আমার জীবনের সেরা সময়। আমি ৫ বছর শান্তিনিকেতনেই পড়াশোনা করেছি, ওখান থেকেই মাস্টার্স করি।'
গায়িকার কথায়, ‘রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসা আমার মজ্জায়, ওটা সারাজীবন বহন করব। ওনার আদর্শেই গান বাজনা করছি, তবে এখন রবীন্দ্রসঙ্গীতের পাশপাশি লোকসঙ্গীতও করি। তবে শান্তিনিকেতনে গিয়ে বুঝতে পেরেছি ওখানকার আকাশ-বাতাস শুধুই যে রবীন্দ্রনাথের গানের জন্য, তা নয়। ওখানকার মানুষ হৃদ মাঝারে রাখব এবং ভেঙে মোর ঘরের চাবি’ দুটোই শোনে।