জম্মুর নাগরোটা সামরিক ঘাঁটির কাছে গুলি চলল। তবে একটি মহলের যে সব গুজব ছড়ানো হচ্ছিল, তা খারিজ করে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। শনিবার রাতের দিকে ভারতীয় সেনার ১৬ কোরের তরফে সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, '(জম্মুর নাগরোটা সামরিক ঘাঁটির) চত্বরে সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে নাগরোটা মিলিটারি স্টেশনের সজাগ সেন্ট্রি চ্যালেঞ্জ ছোড়ে। তারপর সন্দেহভাজনের সঙ্গে কিছুটা গুলির লড়াই হয়। সামান্য আঘাত লেগেছে সেন্ট্রির। অনুপ্রবেশকারী বা অনুপ্রবেশকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলছে।'
নাগরোটা বায়ুঘাঁটি মিথ্যাচার পাকের, ফাঁস করেছে ভারত
এমনিতে জম্মুর নাগরোটা মিলিটারি স্টেশন নিয়ে সকাল থেকেই পাকিস্তান ও পাকিস্তান-পন্থী সোশ্যাল মিডিয়ার লোকজন মিথ্যে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছিল। একেবারে সপাটে থাপ্পড় মেরে সেই মিথ্যে ফাঁস করে দিয়েছে ভারত।
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বলা হয়েছে, 'নাগরোটা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলার কথা শুনেছেন? সতর্ক থাকুন। একটা পুরনো এবং ডিজিটাল উপায়ে তৈরি ভিডিয়োকে নাগরোটা বায়ুসেনা ছাউনিতে পাকিস্তানি হামলার বলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই ভিডিয়োটা আসলে ২০২৪ সালের অক্টোবরে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয়েছিল।'
আরও পড়ুন: 'ভারত তো…' সংঘর্ষ বিরতির পরেই চিনের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা অজিত ডোভালের
পাকিস্তান, বেইমানি ও সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন
সেইসবের মধ্যেই শনিবার বিকেলে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি হয়েছিল, তা ভেঙেছে ইসলামাবাদ। রাতের দিকে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানান , গত কয়েক ঘণ্টায় একাধিকবার সংঘর্ষবিরক্তি চুক্তির লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। তবে চুপ করে বসে নেই ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীও। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেওয়া হচ্ছে যোগ্য জবাব। পুরো পরিস্থিতির উপরে তীক্ষ্ণ নজর রাখা হয়েছে। সেইসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তরফে নিয়ন্ত্রণরেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সেনা-সহ ভারতীয় সুরক্ষা বাহিনীকে কঠোর জবাব দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান বিদেশ সচিব।
আরও পড়ুন: 'আর শুনব না,' বিএসএফের ডিজিকে ফোন তৃণমূলের কল্যাণের, কেন?
সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতেই পারে না পাক, দাবি মন্ত্রীর
আর ভারতের বিদেশ সচিবের সেই ভাষণের কিছুক্ষণের মধ্যেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। কিন্তু গত কয়েক ঘণ্টায় পাকিস্তান যে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার অবশ্য সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, পাকিস্তান মোটেও সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করতে পারে না বা সে বিষয়ে কখনও ভাবেনি।