বিএসএফ জওয়ানকে আটক করেছিল পাকিস্তান। তাঁকে মুক্ত করে আনার জন্য় নানা চেষ্টা হয়েছে বিএসএফের তরফে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে আনা যায়নি বলে খবর।
দু পক্ষের মধ্য়ে লড়াই যখন একেবারে চরম ছিল তখন ওই বিএসএফ জওয়ানের পরিবারের মধ্য়ে চরম উদ্বেগ ছড়িয়েছিল। তবে এবার সংঘর্ষ বিরতির সিদ্ধান্ত।
এবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায় এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্য়ে সংঘর্ষ বিরতি হয়েছে এবার যাঁকে পাকিস্তান সেনা আটক করে রেখেছে তাঁর মুক্তির জন্য় এখনই উদ্যোগ নেওয়া হোক। তাঁকে প্রায় ২০ দিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে। কিছুক্ষণ আগে আমি বিএসএফের ডিরেক্টর জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি। এই সময়ে আমার অভিপ্রায়, পরিকল্পনা এগুলো শোনার আগ্রহ নেই, আমি চাই অবিলম্বে মুক্তি। কোনও দেরি না করে তাঁকে মুক্তি দিতে হবে। তাঁর ফেরার অপেক্ষায় উদ্বেগের মধ্য়ে রয়েছে তাঁর পরিবার। আমি আশা করি ভারত যথেষ্ট সমর্থ তাঁকে ছাড়িয়ে আনার ক্ষেত্রে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে। লিখেছেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই বিএসএফ জওয়ানকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি করেছেন কল্যাণ। অত্যন্ত উদ্বেগের মধ্য়ে রয়েছে পরিবার।
এর আগে বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছিলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমাদের জওয়ান, সাউজির কোনও খবর নেই। আমাদের পক্ষ থেকে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। পূর্ণম সাউকে ফিরিয়ে আনতেই হবে।’
রিষড়ার বাসিন্দা পূর্ণম সাউ পোস্টিং ছিলেন বর্ডারে। তাঁকে আটক করেছে পাক রেঞ্জার্সরা। এরপর থেকে আটক রয়েছেন তিনি। এদিকে সংঘর্ষ বিরতিতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। তারপর তাঁর মুক্তি নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছিল। তবে এসবের মধ্য়ে রাতে পাকিস্তানের দিক থেকে শুরু হয় সংঘর্ষ বিরতি। এনিয়ে ফের উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
এদিকে কিছুদিন আগেই ওই বিএসএফ জওয়ানের স্ত্রী বলেছিলেন, ‘এখন আর আশা দেখছি না। যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছে। এখন পাকিস্তান আর হয়তো ছাড়বে না।’
তবে এবার সংঘর্ষ বিরতি। এখনই তাঁর মুক্তি চান তৃণমূল এমপি। কিন্তু পাকিস্তান যেভাবে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে তার জেরে ওই বিএসএফ জওয়ানের মুক্তির প্রসঙ্গটি কতটা ফলপ্রসূ হয় সেটাই দেখার। তবে গোটা দেশ অবশ্য তাকিয়ে আছে কবে মুক্তি পাবেন ওই জওয়ান? কবে তিনি ফের রিষড়ার বাড়িতে ফিরবেন?