পাকিস্তানের অর্থনৈতিক নীতি, বিদেশি ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা এবং ভারতে অশান্তি উস্কে দেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের ভূমিকার সমালোচনা করলেন আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।
একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এআইএমআইএম প্রধান পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন, দেশটি ধর্মের নামে বিভেদ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে।
ওয়েইসির কথায়, ‘অফিসিয়াল ভিক মাঙ্গে হ্যায় পাকিস্তানি।’
'তারা আইএমএফ থেকে ১০০ কোটি ডলার ঋণ নিচ্ছে। গত ৭৫ বছরে পাকিস্তান কী করেছে? কারা তাদের ঋণের জন্য আইএমএফের কাছে যেতে বাধ্য করেছিল? এটা তাদের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল নয়; এটা আন্তর্জাতিক জঙ্গি তহবিল,' বলেন ওয়াইসি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী বোর্ড তার জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা তহবিলের অধীনে পাকিস্তানকে নতুন করে ১.৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে, পাশাপাশি তার ৭ বিলিয়ন ডলার কর্মসূচির প্রথম পর্যালোচনা করেছে, যা প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার নগদ মুক্ত করেছে।
আইএমএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, '(কর্মসূচির) অধীনে পাকিস্তানের নীতিগত প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে একটি চ্যালেঞ্জিং আন্তর্জাতিক পরিবেশের মধ্যে অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং আস্থা পুনর্নির্মাণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ভারতের বিরুদ্ধে চলতি আগ্রাসন সত্ত্বেও পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা করেছিলেন ওয়াইসি।
পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ওয়াইসি
আসাদউদ্দিন ওয়াইসি পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন এবং হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ বপন ও শান্তি অস্থিতিশীল করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও জাপান কীভাবে তাদের অর্থ দিতে রাজি হলো, যখন আমাদের জমি, বাড়িঘর ও সৈন্যদের ওপর হামলা হওয়া সত্ত্বেও তারা ঋণ পাচ্ছে? সরকার চালানোর কথা ভুলে যান, পাকিস্তান অর্থনীতি কীভাবে চালাতে হয় তাও জানে না।
‘তারা সেখানে বসে আমাদের ইসলাম সম্পর্কে লেকচার দেয়। এখানকার শান্তি বিঘ্নিত করতে, হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতেই এটা তাদের বিপজ্জনক নীতি।’
অতীতের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে এমন তহবিলের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে পাকিস্তানের ঋণের বিষয়ে আইএমএফের ভোট থেকে বিরত ছিল ভারত।
ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, 'আগের কর্মসূচিগুলো যদি একটি সুষ্ঠু সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির পরিবেশ তৈরি করতে সফল হতো, তাহলে পাকিস্তান আরেকটি বেল-আউট কর্মসূচির জন্য আইএমএফের কাছে আবেদন করত না।